২০১৮ সাল। ভারত সরকার এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নেয়—একটি অত্যাধুনিক অ্যান্টি-মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনে আনা হবে, যার নাম দেওয়া হয় “সুদর্শন”। দাম? প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা! স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় প্রশ্ন, শুরু হয় সমালোচনা।
সমালোচনার ঝড়ে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীও
অনেকেই তখন বলেছিলেন, “এই টাকা দিয়ে গরিবদের জন্য স্কুল, হাসপাতাল তৈরি করা যেত। খেতে না পাওয়া মানুষদের জন্য কিছু করা যেত। মোদি সরকার এত টাকা খরচ করে অস্ত্র কিনছে কেন?” সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহল—সমালোচনার তীর চলেছিল সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়েও কটাক্ষ হয়েছিল বিস্তর।
তবে তখনই ছিল দূরদর্শী সিদ্ধান্ত
তখন হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেননি, একটা দেশ কেবল তার অর্থনীতিতেই নয়, তার নিরাপত্তা দিয়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর সেই নিরাপত্তার ছাতাই ছিল এই সুদর্শন অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যা শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দিতে পারে।
২০২৫ সালে এল সেই কঠিন সময়
এই ২০২৫ সালেই সেই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব টের পেল গোটা দেশ। সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান থেকে একাধিক মিসাইল আক্রমণের চেষ্টা হয়। তার মধ্যে কিছু ছিল টার্গেট করে ভারতের বড় শহরের দিকে।
কিন্তু তখনই “সুদর্শন” সামনে এসে ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। মাঝ আকাশেই একের পর এক মিসাইল ধ্বংস করে দেয় এই প্রযুক্তি। মানুষের প্রাণ বাঁচে। শহর ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।
যা একদিন নিন্দার শিকার হয়েছিল, আজ তা গর্বের কারণ
আজ আর কেউ প্রশ্ন তোলে না এই “সুদর্শন”-এর দাম নিয়ে। বরং দেশবাসী কৃতজ্ঞ—সময়মতো এই অস্ত্র আনায়। যা একদিন সমালোচনার ঝড় তুলেছিল, আজ সেটাই দেশের গর্ব।
উল্লেখ্য,“সুদর্শন” নামটা শুধু একটা অস্ত্রের নাম নয়, এটা এক ঐতিহাসিক রূপকের প্রতীক। যেমন কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র ছিল অশুভ শক্তিকে রুখে দেওয়ার প্রতীক, তেমনই ভারতের এই আধুনিক সুদর্শন রক্ষা করল দেশের আকাশ ও নাগরিকদের।