TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

ভারতের আকাশে ঢাল ‘সুদর্শন চক্র’! জানুন এর ইতিহাস

মাত্র একরাতেই ভারতের আকাশরক্ষা ব্যবস্থা বদলে দিল যুদ্ধের হিসাব! পাকিস্তানের হামলা থামাল 'সুদর্শন চক্র' নামে পরিচিত S-400। কীভাবে সম্ভব হলো? জানুন এক বিশেষ রিপোর্টে।

Debapriya Nandi Sarkar

পাকিস্তান যখন একসাথে ভারতের উপর ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালাল ভারতের চার রাজ্যে, তখনই সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলো। ভারত সেই মুহূর্তেই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে। এই হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারতের আকাশরক্ষা ব্যবস্থা। স্রেফ প্রতিরক্ষা নয়, প্রতিহিংসারও এক মারাত্মক অস্ত্র হয়ে উঠেছে ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

‘সুদর্শন চক্র’ নামে পরিচিত S-400 কীভাবে বদলে দিল সবকিছু?

রাশিয়ার তৈরি এই অত্যাধুনিক S-400 ট্রায়ুম্ফ সিস্টেম ভারতের সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুত ছিল। ৬০০ কিমি দূরের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে এর রাডার। একসাথে ৮০টি টার্গেট ট্র্যাক করতে পারে এবং একাধিক মিসাইল ছুঁড়ে নিখুঁতভাবে মাঝআকাশে ধ্বংস করতে পারে শত্রু ড্রোন বা মিসাইল।

এই পুরো ব্যবস্থা ছিল পাকিস্তানের কাছে অজানা এক আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কাই বাস্তব হল ৭ ও ৮ মে-র রাতে, যখন একে একে আকাশে গর্জে উঠল S-400।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন মনোহর পর্রীকর?

এই সিস্টেম যেন আজ বাস্তবে দাঁড়াতে পারে, তার পেছনে ছিলেন এক ব্যক্তিত্ব—প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। ২০১৬ সালে তাঁর নেতৃত্বেই ভারতের এয়ার ডিফেন্স পলিসি বদলাতে শুরু করে। তিন স্তরের নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয় S-400। তাঁর প্রযুক্তিগত দূরদর্শিতা এবং আমলাতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে জোরালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই রক্ষা করল আজকের ভারতকে।

সর্বোচ্চ সাশ্রয়ী নিরাপত্তা!

এটি ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিফেন্স সিস্টেম হলেও প্রতি বর্গকিলোমিটার কভারেজ অনুযায়ী বিশ্বের অন্যতম সস্তা এবং কার্যকরী সিস্টেম। ছোট ও মাঝারি পাল্লার আরও অনেক মিসাইল সিস্টেম বাতিল করা গেছে এই একটি S-400-এর জন্য। ফলে আর্থিকভাবে যেমন লাভ, তেমনই কৌশলগতভাবেও ছিল সেরা সিদ্ধান্ত।

কূটনৈতিক চাপে নতি স্বীকার না করে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত

আমেরিকা তখন CAATSA নামক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল। তবুও পর্রীকর পিছিয়ে যাননি। ভারতের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করেন রাশিয়ার সঙ্গে। এবং আজ, সেই সিদ্ধান্তই প্রমাণ করল—আকাশে যদি বজ্রপাত থামানো সম্ভব হয়, তবে সেটা S-400-ই পারবে।

উল্লেখ্য, মে ২০২৫-এর এই ঘটনা পরিস্কার করল, একজন সৎ এবং প্রযুক্তিগতভাবে প্রজ্ঞাবান মন্ত্রী কীভাবে বদলে দিতে পারেন দেশের ভবিষ্যৎ। S-400 শুধু একটি অস্ত্র নয়, এটি কোটি কোটি মানুষের একটা ভরসার স্থান।

About Author
Debapriya Nandi Sarkar
Debapriya Nandi Sarkar

আমি দেবপ্রিয়া নন্দী সরকার। ২০১৮ তে পলিটিক্যাল সাইন্স অনার্স নিয়ে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। তারপর ২০১৯ থেকে আমি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করি। পলিটিক্যাল, বিনোদন, লাইফ স্টাইল, আন্তর্জাতিক খবর ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আমার লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।