রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবায় প্রিপেড স্মার্ট মিটার চালু করার বিষয় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, রাজ্য সরকার এবং বিদ্যুৎ দফতর চুপিচুপি সাধারণ গ্রাহকদের উপর চাপ দিয়ে দিচ্ছে এই স্মার্ট মিটার, যার ফলে বাড়বে ভোগান্তি।
‘না জানিয়ে বসানো হচ্ছে মিটার’— দাবি সিপিএমের
সিপিএমের দুটি সংগঠন,যথা- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ মেনস ইউনিয়ন এবং বিদ্যুৎ শিল্প সহায়ক ইউনিয়ন-এর অভিযোগ, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কোনওরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই মিটার বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে আগাম টাকা না দিলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না।
তাদের মতে, রাতের বেলা যদি মিটারে টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। আবার, বিদ্যুতের দামও ওঠানামা করবে বাজার চাহিদা অনুযায়ী। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে কৃষকদের— জল সেচ বন্ধ হয়ে গেলে চাষাবাদে মার খাবে, যার প্রভাব পড়বে বাজারদরেও।
সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে
সিপিএম নেতা সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “২০০৩ সালের বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী, কোনও গ্রাহককে জোর করে প্রিপেড মিটার নিতে বাধ্য করা যায় না। অথচ এখন রাজ্য সরকার এবং একটি বেসরকারি কোম্পানি সেটাই করছে। এটা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে।”
‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’— পাল্টা জবাব মন্ত্রীর
অভিযোগ নস্যাৎ করে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কোথাও কোথাও পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট মিটার লাগানো হচ্ছে ঠিকই, তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। বিদ্যুৎ পরিষেবা বেসরকারি হাতে চলে যাচ্ছে— এই প্রচারেরও কোনও সত্যতা নেই।”