লকডাউনের ফাঁকে এক বাবা-ছেলের জুটি যা করে দেখালেন, তা দেখে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ গাড়িপ্রেমীরা। পুরনো একটি Ford Fiesta গাড়িকে এমনভাবে পাল্টে ফেলেছেন তাঁরা, যা রীতিমতো চমকে দিচ্ছে সবাইকে। এই গাড়ি যেমন দিব্যি রাস্তায় ছুটে চলে, তেমনই অনায়াসে জলে ভেসে চলে একেবারে নৌকার মতো।
উপরের অংশ গাড়ি, নীচে নৌকা!
গাড়ির উপরিভাগ ঠিক যেমন সেভেন্থ জেনারেশন Ford Fiesta হয়ে থাকে, তেমনই রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে আসল চমক গাড়ির তলায়। ফাইবারগ্লাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এক নৌকার মতো কাঠামো। টায়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ফিয়েস্তার স্টক অ্যালয় হুইল। ফলে একইসঙ্গে গাড়ির ছন্দ আর নৌকার গঠন—দুই-ই মিলেমিশে এক অভিনব যন্ত্র তৈরি হয়েছে।
ইঞ্জিন, এক্সজস্ট, রুফ—সব কিছুর জায়গা বদল
এখানেই শেষ নয়। প্রযুক্তির ছোঁয়াও লেগেছে এই অভিনব গাড়িতে। ইঞ্জিন বসানো হয়েছে পিছনের সিটের পেছনে। এক্সজস্টটিও তুলে আনা হয়েছে ওপরের দিকে, যেন জলে থাকাকালীন কোনো সমস্যা না হয়। গাড়ির রুফটাই খুলে ফেলা হয়েছে, ফলে খোলা আকাশের নিচে বসে ড্রাইভ করার স্বাদ মিলবে, সেটা জলে হোক বা ডাঙায়।
প্রপেলার চালিয়ে গতি, রাডার দিয়ে দিকনির্ণয়
এই গাড়ি শুধু দেখতে নৌকার মতো নয়, চলেও ঠিক নৌকার মতোই। পিছনে বসানো হয়েছে প্রপেলার, যাতে জলে গতি ধরে রাখা যায়। একটি ট্রান্সফার কেসের মাধ্যমে এই প্রপেলারে শক্তি পৌঁছায়। রাডার এবং প্যাডেলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় গাড়ির গতি। জলে চলার সময় এই গাড়ি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে।
ভাইরাল ভিডিও দেখে চমকে গেল ইন্টারনেট
সম্প্রতি ইউটিউবে এই গাড়ির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কেমনভাবে ফোর্ড ফিয়েস্তাকে একেবারে উভচর যানে রূপ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন—নিজেদের পুরনো গাড়িকেও যেন এমনভাবে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করেন।
উল্লেখ্য, এই উদ্ভাবন প্রমাণ করে দিয়েছে যে, সৃষ্টিশীলতার কোনো সীমানা নেই। রাস্তায় যেমন চলবে, জলেও তেমনই ভেসে যাবে—এমন এক আশ্চর্য গাড়ি বানিয়ে বাবার সঙ্গে ছেলে যেন নতুন দিশা দেখালেন গোটা দুনিয়াকে।