গোয়ার শান্ত, ধর্মভীরু জনজীবনে নেমে এল কালো ছায়া। শুক্রবার গভীর রাতে শিরগাঁও মন্দিরে লইরাই যাত্রা চলাকালীন ঘটে গেল ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। ভক্তির আবেগে ঢেকে গিয়েছিল চোখের সামনে ঘটে চলা বিপদ। অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত সাতজনের, আহত হয়েছেন আরও অনেক—কারও শরীর থেঁতলে গেছে, কেউ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
ঘটনাটি ঘটে রাত প্রায় ৪টার দিকে, যখন মন্দির যাত্রা একটি ঢালু জায়গায় পৌঁছায়। ভিড় ছিল ভয়াবহ—পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। হঠাৎই কার যেন হুড়োহুড়ি, তার জেরে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বিশৃঙ্খলা। কেউ পড়ে যান, কেউ কাউকে টেনে ধরেন, আর তার মাঝেই পিষে যেতে থাকেন অসংখ্য মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে বহু মহিলা ও শিশুও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনেককেই তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় গোয়া মেডিকেল কলেজ ও উত্তর গোয়ার জেলা হাসপাতালে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওন্ত। সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এত ভিড় ছিল যে নিয়ন্ত্রণ রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। আমরা আহতদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করছি।” পরে, X-এ তিনি লেখেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি নজরে রাখছি।”
আরোও পড়ুনঃ আলোচনার বদলে আকাশসীমা বন্ধ! কোথায় যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক?
গোটা ঘটনায় এখন গোয়ায় শোকের আবহ। উৎসবের আনন্দ নিমেষে মুছে গিয়ে রয়ে গেছে কান্নার সুর। প্রশ্ন উঠছে—এত বড় জমায়েতের আগে কি যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? কেন আগাম সতর্কতা ছিল না?