বুধবার সকালে বালুচিস্তানের খুঝদার এলাকায় একটি স্কুলবাসে হঠাৎই ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় গোটা বাসটি। মৃত্যু হয় তিন শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্কের। গুরুতর জখম ৫৩ জন, যার মধ্যে ৩৯ জনই শিশু। আট জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
হামলার পর পাকিস্তানের অভিযোগের বাণ
এই নারকীয় হামলার জন্য সরাসরি ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়—এই হামলায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের খুঁজে বার করবে নিরাপত্তা বাহিনী। এবং যে দেশ এই ষড়যন্ত্রে মদত দিয়েছে, সেই দেশকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। ভারতের দিকে ইঙ্গিত করেই বলা হয়, ‘আজ তাদের আসল মুখ প্রকাশ্যে এসেছে।’
‘Fitna al Hindustan’—ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ
পাকিস্তান দাবি করেছে, এই হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং ভারতের ছায়াযুদ্ধের অংশ—যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘Fitna al Hindustan’। পাকিস্তানের সেনা ও বালোচ নেতারা ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।
ভারতের কড়া জবাব: ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন’
এই অভিযোগের জবাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানায়, “খুঝদারের ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। বরং নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই পাকিস্তান এ ধরনের নাটক করছে।” বিদেশমন্ত্রক আরও জানায়, পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে এবং সেই সত্য আড়াল করতেই ভারতের দিকে অভিযোগ ছুঁড়ছে।
আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা
ঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলের নজর পড়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতির উপর। পাকিস্তান এই হামলার তদন্তে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চেয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা—এই ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক সমাজে গ্রহণযোগ্য হবে না।
Our response to media queries on allegations by Pakistan⬇️
🔗 https://t.co/K8d3I17hoX pic.twitter.com/SO7TCluJYV
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) May 21, 2025