ফের ভয় ধরানো তথ্য সামনে আনল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। এপ্রিল মাসে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সংগৃহীত ১৯৮টি ওষুধ পরীক্ষায় গুণমানের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। শুধু তাই নয়, কিছু ইনজেকশনের ভায়ালে মিলেছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।
কলকাতার ল্যাবে ধরা পড়েছে ৩৩টি অযোগ্য ওষুধ
সারা দেশের ওষুধ পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কলকাতার কেন্দ্রীয় ড্রাগ ল্যাবে ধরা পড়েছে ৩৩টি ওষুধের মানহীনতা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো ওষুধের নমুনার মধ্যেও গুণমান পরীক্ষায় ফেল করেছে একাধিক সংস্থা।
নামী ব্র্যান্ডের ছদ্মবেশে বাজারে জাল ওষুধ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বহু ওষুধ তৈরি হয়েছে নামী সংস্থার ব্র্যান্ড নেম নকল করে। অথচ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেই ওষুধ তাদের তৈরি নয়। অর্থাৎ সম্পূর্ণ জাল ওষুধ বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও দূষিত তরল—জীবনের ঝুঁকি
বিভিন্ন ইনজেকশনে পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে, বিশুদ্ধ পানির বদলে ব্যবহার করা হয়েছে দূষিত তরল। কিছু ক্যাপসুল খাওয়ার পর শরীরে দ্রবীভূতই হচ্ছে না—এও ধরা পড়েছে পরীক্ষায়।
‘নট স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ ঘোষিত, বাজার থেকে সরানো হবে ওষুধগুলো
এই সব কারণেই ১৯৮টি ওষুধকে “Not of Standard Quality” হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এগুলিকে অবিলম্বে বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ভয়াবহ বাস্তব চিত্র সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্বেগ, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে কি নিছক পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে? প্রশ্ন উঠছে ওষুধ নির্মাণ ও বণ্টনের উপর প্রশাসনিক নজরদারির কার্যকারিতা নিয়েও।