গুজরাটের দাহোদে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার কড়া বার্তা দিলেন ভারতের শত্রুদের উদ্দেশে। জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “যদি কেউ ভারতের দিকে চোখ তোলে, তাহলে তার ধ্বংস অনিবার্য। ভারত এখন আর পুরনো ভারত নয়। আমরা জবাব দিতে জানি, তাও মুহূর্তের মধ্যে।” তাঁর এই হুঙ্কারে জনতার মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত শান্তি চায়, কিন্তু যদি কেউ আমাদের শান্তিকে দুর্বলতা ভাবে, তাহলে সে বড় ভুল করবে। আমরা রক্ষা করতে জানি, এবং প্রয়োজনে জবাব দিতেও জানি।” মোদীর এই বার্তা শুধু গুজরাটবাসীর জন্য নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও এক রাজনৈতিক বার্তা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনা মনে পড়লেই আজও গরম হয়ে ওঠে রক্ত
মোদী এদিন স্মরণ করালেন কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের সেই স্মরণীয় ঘটনা, যেখানে ২২ এপ্রিল ভারতীয় সেনা মাত্র ২২ মিনিটে শত্রুকে জবাব দিয়েছিল। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ের সেই দিনের কথা মনে পড়লে আজও রক্ত গরম হয়ে ওঠে। আমরা কখনোই ভুলিনি, কীভাবে আমাদের সেনা সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছিল।”
এই বক্তব্যে মোদী বোঝাতে চেয়েছেন, ভারতের প্রতিরক্ষা কখনও নিঃশেষ নয়। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে সেনা কীভাবে জবাব দিতে জানে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তুলে ধরেছেন তিনি।
অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর গুজরাতে মোদীর আগমন
সম্প্রতি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই বিশেষ প্রতিরক্ষা অভিযান ভারতের নিরাপত্তা পরিকাঠামোকে আরও দৃঢ় করেছে। সেই সাফল্যের আবহে গুজরাতে এসে মোদী একদিকে যেমন সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, অন্যদিকে দেশের মানুষের মনোবলকে চাঙ্গা করেন।
জনসভায় মোদী বলেন, “আমরা কেবল প্রতিরক্ষা নয়, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক নতুন ভারত গড়ে তুলছি। যেখানে আমাদের সেনা যেমন শক্তিশালী, তেমনি জনগণও সজাগ।”
গুজরাত জুড়ে মোদীকে ঘিরে আবেগের জোয়ার
গুজরাট তো বরাবরই মোদীর রাজনৈতিক ঘাঁটি। কিন্তু এবার যেন আরও বেশি উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে জনতা। মোদীকে ঘিরে জনস্রোত, ব্যানার, স্লোগানে মুখর ছিল গোটা দাহোদ। অনেকের চোখে জল, কেউ আবার বলছেন, “আমাদের গর্ব মোদীজি। উনি থাকলে আমরা নিশ্চিন্ত।”
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে দেশপ্রেম, শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের বার্তায় মোড়া ছিল মোদীর প্রতিটি শব্দ।