পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, দেশে এখন ৩১ কোটির বেশি এলপিজি গ্যাস কানেকশন। আগে যেখানে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ কোটির কম, সেখানে বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বাড়তি কানেকশন দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।
বদলে যাওয়া গ্রামাঞ্চলের রান্নাঘর
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে গ্রামীণ ভারতের দৃশ্যপট। তিনি বলেন, “আজ আর গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া দুষ্কর নয়। অনায়াসেই পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জের বাড়িতে। ঘরে ঘরে গ্যাসের আলো জ্বলছে।” তিনি আরও বলেন, গৃহস্থালি জীবনের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে এই এলপিজি পৌঁছনোর ফলে।
“উজ্জ্বলা”য় উজ্জ্বল নারীশক্তি
নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে বিশেষভাবে উঠে আসে উজ্জ্বলা যোজনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ নারীকে ধোঁয়ার কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রান্নাঘরে ধোঁয়ায় ভরা পরিবেশ আজ অতীত।
“মায়েরা চোখে জল নিয়ে রান্না করতেন। এখন গ্যাসের সাহায্যে সুস্থভাবে রান্না করতে পারছেন।”
পরিকাঠামো বদলের পথে দেশ
এলপিজি সংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি, দেশের গ্যাস সরবরাহ পরিকাঠামোও দ্রুত উন্নত হচ্ছে বলে জানালেন মোদী। রিফিল অর্ডার দেওয়া থেকে শুরু করে গ্যাস পৌঁছনো পর্যন্ত, সবটাই এখন আগের থেকে অনেক দ্রুত ও সহজ।
রাজনৈতিক বার্তা নয়, বাস্তবের ছবি
বক্তব্যে মোদী স্পষ্ট করে দেন—এটা শুধু রাজনৈতিক প্রচার নয়, বাস্তবিক পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। তাঁর কথায়, “যখন আমরা বলি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’, তখন এটাই বোঝাতে চাই। উন্নয়ন মানে ঘরে ঘরে পরিবর্তনের ছোঁয়া।”
এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দেয়, রান্নাঘর থেকে শুরু করে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কতটা জোর দিয়েছে বর্তমান সরকার। একসময় যেখানে গ্যাস মানে ছিল শহরের মানুষের জন্য বিলাসিতা, আজ তা হয়ে উঠেছে গ্রামাঞ্চলের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অংশ।