বাঙালির দুর্গাপুজোর সূচনা হয় মহালয়ার দিন থেকেই। অন্তরের ভিতর ঢুকে পড়ে সেই চেনা উন্মাদনা—আকাশে ভাসে চণ্ডীপাঠ, রেডিও খুললেই এক অন্যরকম সকালের স্বাদ। ২০২৫ সালে মহালয়া পড়েছে ২১ সেপ্টেম্বর, রবিবার। মানে ছুটির দিনে মহালয়া! একেবারে আদর্শ সূচনা।
মহাপঞ্চমী, ষষ্ঠী ও প্যান্ডেল দর্শনের শুরু
মহাপঞ্চমী – ২৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার।
এই দিন থেকেই মূলত পুজোর প্যান্ডেলগুলিতে ভিড় জমতে শুরু করে। আলো, মন্ডপ আর ভাস্কর্যে ঢেকে যায় শহর, গ্রাম—সব।
মহাষষ্ঠী – ২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার।
প্যান্ডেল হপিং-এর আসল দিন! দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ আর অধিবাসের পর দেবী দুর্গা ‘এসে পড়েন’ আমাদের ঘরে।
সপ্তমী থেকে শুরু মূল পূজা
মহাসপ্তমী – ২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার।
এদিন কলাবৌ স্নান করিয়ে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। অফিসে সিক লিভ মারার কথা ভাবছেন? তবে এবার একটানা ৪ দিনের উৎসব আসছে সপ্তাহের মাঝামাঝি!
মহাষ্টমী – ৩০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার।
সবচেয়ে পবিত্র দিন, অষ্টমীর অঞ্জলিতে সামিল না হলে তো পূজোই অসম্পূর্ণ। এদিনই অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপুজো।
মহানবমী – ১ অক্টোবর, বুধবার।
প্রচলিত বিশ্বাস—এই দিনেই মহিষাসুর বধ করেন দেবী দুর্গা। প্যান্ডেলগুলি তখন রঙে-আলোয় ভাসছে, ঢাকের তালে আর ঢোলের দাপটে জমে উঠেছে পুজো মণ্ডপ।
বিদায়ের দিন, মহাদশমী
মহাদশমী – ২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার।
একদিকে বিদায়ের বিষাদ, অন্যদিকে বিজয়া দশমীর মিষ্টি মুখ আর প্রণাম-আলিঙ্গনের আবেগ। ভালো খবর—এই দিন গান্ধী জয়ন্তী হওয়ায় সরকারি ছুটি মিলছে। অর্থাৎ দশমীতে হেডাক নেই, সপরিবারে ঠাকুর দেখেই বিদায় জানাতে পারবেন দেবীকে।
২০২৫ সালের পুজো মানেই ছুটির ছক্কা!
এবারের পুজোতে বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ দিনই পড়েছে ছুটির কাছাকাছি—রবিবার, শনিবার আর বৃহস্পতিবার মিলিয়ে একটানা ছুটি নেওয়ার দারুণ সুযোগ থাকছে। মহালয়া ও ষষ্ঠী দুটোই পড়েছে রবিবারে, মানে কাজের ফাঁক না পড়েই উৎসব শুরু করতে পারবেন।
দুর্গাপুজো তো শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটা বাঙালির চেতনা, প্রাণের উৎসব। ২০২৫-এর পুজো নিয়ে অপেক্ষা শুরু হয়ে গেছে এখন থেকেই। কে জানে, ওই সপ্তমীর সন্ধ্যায় কিংবা নবমীর রাতে কোনও পুরনো ভালোবাসার দেখা মেলে কিনা? এবার ক্যালেন্ডার হাতে রেখে দিন গুনতে শুরু করুন, কারণ ঠাকুর কিন্তু এসেই পড়বেন… খুব তাড়াতাড়ি!