Russia-Ukraine War : দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১ জুন ইউক্রেনের ‘অপারেশন স্পাইডার্স ওয়েব’-এর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়তে পারে ভারত।
তেলের উপর ৫০০% শুল্ক! কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে রাষ্ট্রসংঘ
বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহের অন্যতম প্রধান উৎস রাশিয়া। ভারত তার মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৩৬% আমদানি করে রাশিয়া থেকে। এপ্রিল ২০২৫-এ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৩%। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘ সূত্রে খবর, রাশিয়া থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল কিনলে সেই দেশের ওপর ৫০০% পর্যন্ত শুল্ক বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে।
এর অর্থ কী?
এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ভারতের তেল আমদানি খরচ আকাশছোঁয়া হবে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে দেশের সাধারণ মানুষের উপর। তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে যাবে।
রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা, ভারতের অর্থনীতি কতটা বিপদের মুখে?
পশ্চিমা দেশগুলির রাশিয়ার উপর ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা ভারতের জন্য একদিকে সুযোগ এনে দিলেও এখন তা উল্টো ফাঁদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ আমেরিকা ও ইউরোপ চায় রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে ভারত ও চিন যেন অংশ না নেয়। ফলে ভারতের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে পারে।
টাকার দাম পড়ে যেতে পারে, বাড়বে আমদানি-নির্ভরতা
ভারত এখনও তেলের ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর দেশ। তেলের দাম বাড়লে ভারতীয় মুদ্রা টাকার দাম আরও কমে যেতে পারে, যা দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব—দু’টোকেই বাড়িয়ে তুলবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
ইউক্রেনের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক—দুটোর দিকেই সমস্যা
শুধু রাশিয়া নয়, ইউক্রেনের সঙ্গেও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। যুদ্ধ যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে দু’দিক থেকেই বাণিজ্যে টান পড়বে। বিশেষ করে কৃষি যন্ত্রপাতি, খাদ্যশস্য এবং প্রযুক্তির দিক থেকে সমস্যায় পড়বে ভারত।
আগুনের আঁচে ভারত, এখন কী করবে দিল্লি?
বিশ্বরাজনীতির উত্তাপে ভারত এখন দোটানায়। একদিকে তার সবচেয়ে সস্তার জ্বালানির উৎস রাশিয়া, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে দোদুল্যমান কূটনীতি। সরকার যদি দ্রুত কোনও কৌশল না নেয়, তবে আগামী দিনে এর প্রভাব পড়তে পারে দেশের প্রত্যেক মানুষের জীবনযাত্রার ওপর।