Virat Kohli : চোখের সামনে ছবিটা বদলে গেল এক নিমেষে। যেখানে হওয়ার কথা ছিল আনন্দ, গর্জন আর উদযাপন—সেখানে নেমে এল হাহাকার, মৃত্যুর ছায়া। বেঙ্গালুরুর আইকনিক চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে আরসিবির আইপিএল ২০২৫ ট্রফি জয়ের পর বুধবার আয়োজিত সেলিব্রেশন প্যারেডে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১১ জনের। আহত পঞ্চাশেরও বেশি। ভিড় সামলাতে না পেরে হুড়োহুড়িতে ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
সমালোচনার মুখে আরসিবি: “ভেতরে উৎসব, বাইরে শোক!”
এই ভয়াবহ ঘটনার পর দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রশ্ন উঠছে, এমন দুর্যোগের মাঝেও কেন বন্ধ হল না উদযাপন? যখন একদিকে মাঠের ভেতরে নাচ-গান আর ট্রফি হাতে উদযাপন চলছিল, ঠিক তখনই মাঠের বাইরের দৃশ্য ছিল ভয়ঙ্কর। এমন পরিস্থিতিতে আরসিবির নেতৃত্বে থাকা বিরাট কোহলি ও দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন সেলিব্রেশনের মোডে—এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করছেন বহু নেটিজেন ও বিশিষ্টজনেরা।
অবশেষে মুখ খুললেন বিরাট, ভেঙে পড়েছেন মহানায়ক
এই ঘটনার পর বিরাট কোহলি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন গভীর দুঃখ ও হতাশার কথা। তিনি লেখেন— “আমি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছি। সত্যি বলতে এই ঘটনার জন্য কোনও ভাষা নেই আমার কাছে। এই দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি নির্বাক।” বিরাটের এহেন আবেগঘন বার্তা কিছুটা হলেও প্রশমিত করেছে ক্ষুব্ধ সমর্থকদের মন, কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এই দুর্ঘটনা কি এড়ানো যেত না?
আরসিবির তরফে অফিসিয়াল বিবৃতি
আরসিবি ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকেও দ্রুত এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে— “বুধবার বিকেলে আরসিবির দল শহরে ফিরে আসার পরই সমর্থকদের বিশাল জমায়েত হয়। সেই সময় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আমরা মর্মাহত। এই ঘটনায় যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সেলিব্রেশন কর্মসূচি বাতিল করি এবং স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শ অনুসরণ করি। সকলকে অনুরোধ, দয়া করে নিরাপদে থাকুন।”
প্রশ্নের মুখে প্রশাসন ও আয়োজক কমিটি
এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্ণাটক সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন। কীভাবে এমন বিশাল জনসমাগমের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়নি? কেন ছিল না পর্যাপ্ত পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স? নেটমাধ্যমে অনেকেই দাবি করছেন, প্রশাসন ও আয়োজকরা আরও সচেতন হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
আনন্দের রাত পরিণত হল মৃত্যুর দিন হিসেবে
যে রাতে কোহলি ও আরসিবি দলের সদস্যরা ১৬ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে শহরজুড়ে উল্লাসে মেতেছিলেন, সেই রাতই ১১টি পরিবারে হয়ে উঠল চরম শোকের রজনী। এই ঘটনার ক্ষত সহজে শুকাবে না।