Bulletproof Coffee : ঘি বা নারকেল তেল মেশানো ব্ল্যাক কফি—এটাই বুলেটপ্রুফ কফি। সোজা কথায়, কফির সঙ্গে ফ্যাট যোগ করে এমন এক পানীয় তৈরি করা হয়, যা শরীরকে দেয় শক্তি আর কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য করে ওজন কমাতে। বলিউডে এই কফির প্রেমে পড়েছেন কৃতি শ্যানন, রাধিকা মদন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়, শিল্পা শেট্টি, রকুলপ্রীত সিংহরা। কিন্তু এই কফি কি শুধু ট্রেন্ড? নাকি সত্যিই শরীরের উপর এর কোনও প্রভাব পড়ে?
পুষ্টিবিদ কী বলছেন?
ডায়েটিশিয়ান অনুশ্রী মিত্র জানালেন, ‘‘এই কফি আসলে কিটো ডায়েট ফলো করা ব্যক্তিদের জন্য কার্যকর। কারণ এতে ফ্যাট যোগ করার ফলে শরীর দ্রুত শক্তি পায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘি বা মাখনে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই সকালের শুরুতে এই কফি এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।’’
কীভাবে ওজন কমায় এই কফি?
কিটোজেনিক ডায়েট অনুযায়ী, কার্বোহাইড্রেটের বদলে শরীর শক্তি নেয় ফ্যাট ও প্রোটিন থেকে। এতে শরীরের ‘কিটোসিস’ প্রক্রিয়ায় সঞ্চিত ফ্যাট গলে গিয়ে ওজন কমে। অনুশ্রী বলছেন, ‘‘যাঁরা কিটো ডায়েট মেনে চলে এবং রোজ কঠোর এক্সারসাইজ করেন, তাঁদের জন্য বুলেটপ্রুফ কফি অত্যন্ত উপকারী।’’
কারা খাবেন না?
তবে সবাই এই কফি খেতে পারেন না।
-
হৃদরোগী বা কোলেস্টেরল সমস্যায় ভোগা মানুষদের এই কফি না খাওয়াই ভালো।
-
হজমের সমস্যা থাকলেও এটি এড়িয়ে চলতে হবে।
-
যাঁরা এক্সারসাইজ করেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ফ্যাট-ভরা কফি উলটে শরীরে মেদ জমিয়ে দিতে পারে।
অনুশ্রী বলেন, ‘‘এই কফি কেবলমাত্র ব্রেকফাস্ট হিসেবে খেলে চলবে না। এতে শুধু ফ্যাট থাকে, অন্য কোনও প্রয়োজনীয় পুষ্টি নেই।’’
কখন খাবেন বুলেটপ্রুফ কফি?
-
সকালবেলা খালি পেটে এটি খাওয়া যায়
-
ওয়ার্কআউটের আগে প্রি-ওয়ার্কআউট ড্রিঙ্ক হিসেবেও এটি কার্যকর
কিন্তু মিল রিপ্লেসমেন্ট (meal replacement) হিসেবে এটি খাওয়া অনুচিত।
উল্লেখ্য, বলিউড তারকাদের দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া ভালো। তবে নিজের শরীর বুঝে তবেই ডায়েট বেছে নেওয়া উচিত। পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ট্রেন্ড ফলো করা বিপজ্জনক হতে পারে। বুলেটপ্রুফ কফিও তার ব্যতিক্রম নয়। সুতরাং, ছিপছিপে চেহারা পেতে হলে শুধু কফির উপর ভরসা নয়, দরকার সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম ও জীবনশৈলী।