TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

Vande Bharat : ১২ কিমি অন্ধকার টানেল পেরিয়ে ছুটছে বন্দে ভারত! ভিতরের ভিডিও দেখে চমকে গেল নেটপাড়া— দেখুন ভিডিও

কাশ্মীর উপত্যকায় রেল চলাচলের ইতিহাসে নতুন পালক! বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলব্রিজ ও ভারতের দীর্ঘতম টানেল পেরিয়ে ছুটছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেখুন সেই অবিশ্বাস্য ভিডিও।

Debapriya Nandi Sarkar

Vande Bharat : কাশ্মীরের বুক চিরে ইতিহাস গড়ল ভারতীয় রেল। কাটরা থেকে শ্রীনগর—এতদিন স্বপ্ন ছিল যে পথ, এবার তা বাস্তবে রূপ নিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনের পর শুক্রবার প্রথমবার ছুটল আধুনিক ট্রেনটি। তবে তার থেকেও চমকপ্রদ বিষয় হলো—এই ট্রেন ভারতের দীর্ঘতম রেল টানেল পার করে পৌঁছেছে কাশ্মীর উপত্যকায়।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

ভারতের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গে নজিরবিহীন যাত্রা

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে, বন্দে ভারত ছুটে চলেছে অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে। এই টানেলের নাম T-50, যার দৈর্ঘ্য ১২.৭৭ কিলোমিটার—ভারতের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ।

এই টানেল খারি ও সুম্বরের মধ্যে অবস্থিত। আর এখানেই রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

পাহাড়ের গা বেয়ে সুড়ঙ্গ আর সেতুর অপূর্ব সমন্বয়

এই রেলপথ শুধু টানেলেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম টানেল T-80 (১১.২২ কিমি) পার করে শ্রীনগরে পৌঁছাতে হয়। এই টানেলটিই ‘পীর পাঞ্জাল রেলওয়ে টানেল’ নামে পরিচিত, বানিহাল ও কাজিগুন্ডের মধ্যে অবস্থিত।

উঁচু পাহাড়, গভীর উপত্যকা, হিমালয়ের ভয়ঙ্কর ভৌগোলিক অবস্থান—সব কিছুকে জয় করে তৈরি হয়েছে এই রেললাইন। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলব্রিজ—চেনাব ব্রিজের উপর দিয়েও এই ট্রেন ছুটবে।

নির্মাণে এক দশকের সংগ্রাম

২০১৪ সালের পর থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্পের কাজ। কাটরা থেকে বানিহাল পর্যন্ত ১১১ কিমির রেলপথ নির্মাণ ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে ৯৭ কিমি টানেল, ৭ কিমি ওভারব্রিজ। এই প্রকল্পে কাজ করেছেন দেশ-বিদেশের বহু ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তিবিদ।

প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও জানিয়েছেন, “এই কাজ শুধু রেলপথ নয়, এটা আমাদের সংহতির প্রতীক। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে এটি।”

যাত্রীদের জন্য নতুন ভরসা

এই রেলপথ চালু হওয়ার ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ প্রথমবার পেলেন সরাসরি রেল সংযোগ। আগে যেখানে বাসে বা গাড়িতে সময় লাগত ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সৌজন্যে তা হয়ে উঠবে মাত্র কিছু সময়ের যাত্রা।

পর্যটন ও অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত

এই প্রকল্প কেবল পরিবহণেই নয়, কাশ্মীরের পর্যটন ও অর্থনীতিতেও বিশাল ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সহজ যাত্রা ও আধুনিক যোগাযোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে এবং পর্যটকদের যাত্রাও অনেক আরামদায়ক হবে।

উল্লেখ্য, ভারতের রেল ইতিহাসে এই দিন চিরস্মরণীয়। প্রযুক্তির চূড়ান্ত ব্যবহার, প্রাকৃতিক বাধাকে জয় এবং মানুষের স্বপ্নকে বাস্তব করার কাহিনি—সব মিলিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এই যাত্রা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী।