TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

Indian Defence : পোখরানে সফল রুদ্রাস্ত্র! যুদ্ধক্ষেত্রে বদল আনতে চলেছে ভারতীয় হাইব্রিড ড্রোন

ভারতীয় সেনার নির্ধারিত পরীক্ষায় সফল হাইব্রিড ইউএভি ‘রুদ্রাস্ত্র’। পোখরানে দুর্দান্ত ট্রায়াল, ১৭০ কিমি রেঞ্জে অপারেশন, ৫০ কিমি মিশন রেডিয়াসে স্পষ্ট ভিডিও। যুদ্ধের মানচিত্রে বদলের ইঙ্গিত!

Debapriya Nandi Sarkar

Indian Defence : ভারতের প্রতিরক্ষা জগতে আর এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশীয় প্রযুক্তি। ১১ জুন, ২০২৫-এ পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জে সফলভাবে সম্পন্ন হল Solar Defence and Aerospace Limited (SDAL)-এর তৈরি হাইব্রিড ইউএভি ‘রুদ্রাস্ত্র’-এর ফাইনাল ট্রায়াল। এই অত্যাধুনিক ড্রোনটি নিজস্ব প্রযুক্তিতে প্রস্তুত হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ভারতীয় সেনার প্রয়োজন মাফিক নির্ভুল এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল একটি উড়ন্ত নজরদারি ও আক্রমণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

সেনার নির্ধারিত কঠিন শর্তে পাস

ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এই ড্রোনের জন্য একগুচ্ছ নির্দিষ্ট কার্যক্ষমতার শর্ত রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল—ভার্টিকাল টেক-অফ ও ল্যান্ডিং (VTOL), দীর্ঘক্ষণ আকাশে থাকার সক্ষমতা, নির্ভুল লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা ও বিভিন্ন পরিবেশে অভিযোজনশীলতা। সব শর্ত মেনে সফলভাবে ট্রায়াল শেষ করেছে রুদ্রাস্ত্র। পোখরানের মতো কঠিন ভূখণ্ডে তার এই সাফল্য শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নয়, বরং ভবিষ্যতের যুদ্ধনীতির দিকেও এক বড় বার্তা।

৫০ কিমি দূরত্বে অপারেশন, সঙ্গে লাইভ ভিডিও

রুদ্রাস্ত্র ড্রোনের মিশন রেডিয়াস ছিল ৫০ কিমি, যার মধ্যে সে অবিচ্ছিন্নভাবে রিয়েল টাইম ভিডিও লিংকে ডেটা পাঠাতে সক্ষম হয়। লক্ষ্যস্থলে পৌঁছে প্রায় ১৭০ কিমির ওপরে মোট উড়ান সম্পূর্ণ করে ড্রোনটি নির্ধারিত অবস্থানে ফিরে আসে। তার মোট সময়কাল ছিল প্রায় ১.৫ ঘণ্টা, যা ভারতীয় সেনার অপারেশনাল দৃষ্টিভঙ্গিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড়ি অঞ্চল, সীমান্ত এলাকা বা সংঘর্ষপ্রবণ অঞ্চলে এমন একটি ড্রোন সেনার কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

হাইব্রিড VTOL প্রযুক্তি—সামরিক ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ

এই ড্রোনের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য তার হাইব্রিড VTOL প্রযুক্তি। অর্থাৎ এটি উল্লম্বভাবে ওঠানামা করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে স্থির থেকে নজরদারি চালাতে পারে। পাশাপাশি, হেলিকপ্টারের মতো টেকঅফ এবং বিমানের মতো গতি ও স্থায়িত্বের এক দুর্লভ মিশ্রণ ঘটিয়েছে রুদ্রাস্ত্র। এই প্রযুক্তি সীমান্তে অথবা দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত মোতায়েন ও গোপন অপারেশনে অসামান্য সহায়ক হবে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে নতুন আশা

SDAL-এর এই সাফল্য আরও একবার প্রমাণ করল যে, ভারত নিজস্ব প্রযুক্তিতে আধুনিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে এটি একটি বড় মাইলফলক। বিদেশ থেকে প্রযুক্তি আমদানির নির্ভরতা কমিয়ে ভারতীয় সংস্থাগুলির হাত ধরে তৈরি হতে পারে আগামী প্রজন্মের যুদ্ধের সরঞ্জাম।

রুদ্রাস্ত্র শুধু একটি ড্রোন নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ভাবনার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। যে ভাবনায় স্থান পেয়েছে স্বনির্ভরতা, গতি, নির্ভুলতা এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধের রণকৌশল। পোখরানে সফল ট্রায়াল যেন সেই নতুন যুগের সূচনা। এখন প্রশ্ন একটাই—কবে থেকে সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে নামবে রুদ্রাস্ত্র?