TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

India Bangladesh Relation : দুই বাংলার আত্মীয়তা কি কূটনীতির বলি? দিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন গার্মেন্টস এক্সপোর্টার সংগঠনের সভাপতি

ভারত-বাংলাদেশের সরকার বদলালেই বদলায় সম্পর্কের সুর! দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকলেও রাজনৈতিক টানাপোড়েনেই আটকে যাচ্ছে সব কিছু, বলছেন BGMEA সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।

Debapriya Nandi Sarkar

India Bangladesh Relation : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে মুখ খুললেন BGMEA তথা বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। তাঁর কথায়, দুই দেশের সাধারণ মানুষ একে অপরকে ভালোবাসেন, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ—যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা অনেকটাই এক। কিন্তু সেই ভালোবাসার সম্পর্ক প্রায়ই বিঘ্নিত হয় রাজনৈতিক রঙে। কারণ, দুই দেশের সরকার বদলালেই বদলায় পারস্পরিক সম্পর্কের রঙ।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

“সরকার বদলালেই সম্পর্কের সুর বদলায়”

বাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, “মানুষে মানুষে সম্পর্ক ভালো। কিন্তু সমস্যা হয় সরকার বদলালে। কখনও বন্ধুত্বপূর্ণ, কখনও একপাক্ষিক প্রেম, আবার কখনও বিষণ্ণতা—এইভাবেই বদলাতে থাকে পরিস্থিতি।” এই ধরণের টালমাটাল কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদে দুই দেশেরই ক্ষতি করছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, কোনও একটি দেশের সরকার যদি আগ্রহ দেখায় সম্পর্ক উন্নয়নে, কিন্তু অপর দেশ নিরুত্তাপ থাকে, তাহলে তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। তাই প্রয়োজন দুই সরকারের সমন্বিত সদিচ্ছা।

বড় সুযোগ কিন্তু আটকে আছে রাজনীতিতে

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বর্তমানে অনেক বড় জায়গায় পৌঁছেছে। একে অপরের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বিশেষ করে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, কৃষিপণ্য এবং সীমান্ত বাণিজ্যে উভয় দেশেই লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। “ব্যবসা করতে গেলে বিশ্বাস দরকার। বিশ্বাস তৈরি হয় রাজনৈতিক স্থিরতায়। যদি দুই দেশের সরকার একে অপরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখেন, তাহলে শুধু গার্মেন্টস নয়, বহু শিল্পেই বিপুল উন্নতি সম্ভব,” বলেন বাবু।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

“ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ, কিন্তু আশা আরও স্থিতিশীল সম্পর্কের”

বাবু ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সহযোগিতার কথা স্বীকার করে বলেন, বহু ভারতীয় সংস্থা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং বিপরীতে বাংলাদেশি রফতানিকারকেরাও ভারতের বাজারে প্রবেশ করেছে। তবে তিনি চান, এই সম্পর্ক যেন শুধুমাত্র ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, রাজনৈতিক স্তরেও হোক একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি। তিনি বলেন, “আমরা ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ, তবে আমরা চাই, এই বন্ধুত্ব আরও দীর্ঘস্থায়ী হোক। যেন কোনও নির্বাচনের পর সরকার বদলালেও সম্পর্ক না বদলায়।”

সমাধান কোথায়?

মাহমুদ হাসান খান বাবুর মতে, দুই দেশের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ এবং শক্তিশালী যৌথ প্ল্যাটফর্ম থাকা প্রয়োজন, যেখানে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও বাণিজ্য এবং কূটনীতির আলোচনা থেমে না যায়। এমন একটি ব্যবস্থা থাকলে সরকার বদলালেও নীতিগত সম্পর্ক অটুট থাকবে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক শুধুই রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক নয়—এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক। কিন্তু সেই সম্পর্ককে আরও শক্ত করে তুলতে প্রয়োজন স্থিতিশীল কূটনীতি ও সরকার-নিরপেক্ষ সহযোগিতা। নইলে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের আত্মিক বন্ধনও ধাক্কা খাবে বারবার।

About Author
Debapriya Nandi Sarkar
Debapriya Nandi Sarkar

আমি দেবপ্রিয়া নন্দী সরকার। ২০১৮ তে পলিটিক্যাল সাইন্স অনার্স নিয়ে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। তারপর ২০১৯ থেকে আমি কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করি। পলিটিক্যাল, বিনোদন, লাইফ স্টাইল, আন্তর্জাতিক খবর ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আমার লেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে।