Kedarnath Helicopter Services : কেদারনাথ ধামে যাওয়ার অন্যতম ভরসা হল হেলিকপ্টার পরিষেবা। কিন্তু কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার খারাপ ব্যবহারের জন্য সেই পরিষেবা ছিল পুরোপুরি বন্ধ। পাহাড়ি আবহাওয়ার রূপ বদল যেন মুহূর্তের খেলা, আর সেই খেলাতেই বিঘ্ন ঘটেছিল ভক্তদের যাত্রায়। আজ, মঙ্গলবার থেকে সেই হেলিকপ্টার পরিষেবা ফের চালু হওয়ার কথা। যদিও এখনও পর্যন্ত আকাশ একেবারে পরিষ্কার হয়নি। ফলে পুরোপুরি না হলেও, আংশিকভাবে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কী বললেন আধিকারিক?
উত্তরাখণ্ড সিভিল অ্যাভিয়েশন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও সোনিকা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আজ থেকেই হেলি অপারেশন চালু হয়েছে। তবে আবহাওয়া এখনও অনুকূলে নেই। যতক্ষণ না আবহাওয়া পরিষ্কার হয়, ততক্ষণ উড়ান শুরু করা সম্ভব নয়। তবে আমরা প্রস্তুত, আকাশ পরিষ্কার হলেই উড়ান চালু হবে।” তাঁর কথায় স্পষ্ট, টেকনিক্যাল বা প্রশাসনিক কোনও বাধা নেই পরিষেবা চালাতে, মূল সমস্যা শুধুই প্রকৃতির খামখেয়ালি।
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষেবা?
কেদারনাথ ধামে পৌঁছনো সাধারণ মানুষের পক্ষে চাট্টিখানি কথা নয়। বহু কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা, ঠান্ডা হাওয়া আর অনিয়মিত আবহাওয়া—সব মিলিয়ে এই যাত্রা বেশ কষ্টসাধ্য। বিশেষত বয়স্ক, অসুস্থ বা শিশুরা এই দীর্ঘ পথ হাঁটে যেতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই হেলিকপ্টার পরিষেবাই যেন আশীর্বাদ। দিনে বহুজন এই পরিষেবার মাধ্যমে সোজা পৌঁছে যান মন্দিরের একেবারে নিকটবর্তী হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে অল্প হাঁটাই বাকি থাকে।
আবহাওয়া না মানলে কী হবে?
উত্তরাখণ্ডে জুন-জুলাই মাসে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ে। হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া, তুষারপাত বা কুয়াশা দেখা দিলে হেলিকপ্টার ওঠানামা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিনের পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিষেবা চালানো হয়। আজও সেই ধাঁচেই চলছে কাজ। সকাল থেকে আবহাওয়ার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আকাশ পরিষ্কার হলে যাত্রীদের ফের নেওয়া হবে হেলিপ্যাডে। তবে যাঁদের বুকিং রয়েছে, তাঁদের জানানো হয়েছে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যাত্রীদের জন্য সতর্ক বার্তা
হেলিকপ্টার অপারেটরদের তরফে যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে—যাত্রার আগে আবহাওয়ার আপডেট জেনে নিন, বুকিং কনফার্মেশন সঙ্গে রাখুন এবং সময়সীমা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করুন। যেহেতু পর্বত এলাকায় সিগন্যালের সমস্যা হতে পারে, তাই প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা আগে থেকেই তৈরি রাখতে বলা হচ্ছে।
ভক্তদের প্রত্যাশা
এই মৌসুমে হাজার হাজার ভক্ত কেদারনাথে পৌঁছতে চান। তাঁদের অনেকের বুকিং বাতিল হয়েছিল গত ক’দিনে। আজকের এই ঘোষণা তাঁদের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে প্রকৃতির ওপরই এখন নির্ভর করছে—উড়ান শুরু হবে কি না।