পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর দেশজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক জওয়ান। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের মানুষের মনে প্রশ্ন—এই হামলার জবাব কীভাবে দেবে ভারত? রাজনৈতিক মহলেও উঠছে প্রশ্ন, এবার কি তাহলে ফের একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পথে হাঁটবে দেশ?
পাকিস্তানকে জবাবের দাবি, আশ্বাস প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
এই পরিস্থিতিতে রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন দেশবাসীকে। দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “দেশবাসী যা চাইছেন, তাই-ই হবে। উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।” যদিও তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি, তবে তাঁর বক্তব্যে পরোক্ষ ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট।
প্রত্যাঘাত কবে ও কীভাবে, সিদ্ধান্ত সেনার হাতে
সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠকে বসেছিলেন বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে। হামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে—তা নিয়ে হয়েছিল বিস্তারিত আলোচনা। সেনাবাহিনীকেই দেওয়া হয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা, কবে, কোথায় এবং কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। অর্থাৎ, রাজনৈতিক স্তরে ছাড়পত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজনাথ সিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে দেশের সুরক্ষা সর্বদা সুনিশ্চিত। তিনি কীভাবে কাজ করেন, তা দেশবাসী জানেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি—আপনারা যা আশা করছেন, তার থেকে কোনও অংশে কম কিছু হবে না।”
সাধু-সন্তদের ‘সৈনিক’-এর মর্যাদা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু সাধু-সন্ত। তাঁদের উদ্দেশে রাজনাথ বলেন, “একদিকে আমাদের সেনারা দেশের সীমান্তে রণভূমিতে লড়াই করছেন। অন্যদিকে, আপনারাও লড়াই করছেন সমাজে মূল্যবোধ আর সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার জন্য। আপনারাও আমাদের সৈনিক।”
রাজনাথের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট—সরকার পরিস্থিতির প্রতি যথেষ্ট সজাগ এবং কোনও রকম চাপে নতি স্বীকার করার পক্ষে নয়। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। এবার শুধু অপেক্ষা, ভারতের জবাব কবে এবং কীভাবে আসে।