কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২০০০ টাকা ঢুকবে—এই আশায় বহু মানুষ এখন অপেক্ষায়। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা’ (PM-Kisan) প্রকল্পের অধীনে শীঘ্রই আসছে ২০তম কিস্তি। তবে এই টাকা সময়মতো পেতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতেই হবে—তা না হলে বহু কৃষক এই আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল ১৯তম কিস্তির টাকা। প্রায় ৯.৮ কোটি কৃষক ওই সময় এই সুবিধা পান, যার মধ্যে প্রায় ২.৪ কোটি ছিলেন মহিলা কৃষক। প্রতিটি কিস্তিতে কৃষকরা ২০০০ টাকা করে পান, এবং বছরে মোট তিনটি কিস্তির মাধ্যমে ৬০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
২০তম কিস্তি কবে আসতে পারে?
যদিও এখনো পর্যন্ত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তারিখ ঘোষণা করেনি, তবে অনুমান করা হচ্ছে যে জুনের শেষ সপ্তাহ বা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই ২০তম কিস্তির টাকা ট্রান্সফার হতে পারে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে নানান প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।
e-KYC ও আধার লিংক বাধ্যতামূলক
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা এখনো পর্যন্ত e-KYC সম্পন্ন করেননি, অথবা যাঁদের আধার নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত হয়নি, তাঁরা এই কিস্তির টাকা পাবেন না। এছাড়া, ‘PM-Kisan’ পোর্টালে গিয়ে কৃষকদের নিজের নাম ‘Beneficiary List’ এবং ‘Know Your Status’ বিভাগে যাচাই করে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যাঁরা এই শর্ত পূরণ করেছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই সরাসরি টাকা পাবেন। তাই শেষ মুহূর্তে দৌড়ঝাঁপ না করে এখনই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে চেক করবেন নিজের নাম?
-
PM-Kisan ওয়েবসাইটে যান
-
‘Beneficiary Status’ অপশনে ক্লিক করুন
-
মোবাইল নম্বর অথবা রেজিস্টার্ড আধার নম্বর দিন
-
OTP দিয়ে লগ ইন করুন
-
দেখুন আপনার নাম তালিকায় রয়েছে কি না
যদি নাম না পাওয়া যায়, তাহলে নিকটবর্তী CSC সেন্টারে গিয়ে সংশোধনের অনুরোধ জানানো যেতে পারে।
কেন এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ?
PM-Kisan প্রকল্প মূলত দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিকভাবে সুরক্ষা দিতে চালু হয়েছিল। ফসলের মৌসুমে অগ্রিম কিছু অর্থ হাতে পেলে কৃষকেরা বীজ, সার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে চাষের প্রস্তুতি নিতে পারেন। এই আর্থিক সহায়তা অনেক কৃষকের কাছে ভরসার একমাত্র উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০তম কিস্তির আগে সময়মতো প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে কৃষকদের জন্য বড়সড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত e-KYC ও আধার–ব্যাংক লিংক করে নিজের নাম তালিকায় নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ।