আগামী ২৭ আগস্ট, বুধবার ২০২৫ গনেশ চতুর্থী পালিত হবে। এ বছর দিনটি বিশেষভাবে শুভ মনে করা হচ্ছে কারণ এটি বুধ গ্রহের প্রভাবের সঙ্গে মিলিত। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বুধকে বুদ্ধি ও যোগাযোগের গ্রহ হিসেবে ধরা হয়। ফলে ভক্তদের কাছে এই দিনটি আরও পবিত্র ও শক্তিশালী বলে বিবেচিত হচ্ছে।
মোদকের বাইরে বিশেষ নিবেদন
প্রথাগতভাবে মোদককে গনেশপূজার প্রধান নিবেদন হিসেবে মানা হয়। তবে ২০২৫ সালে ভক্তদের জন্য আরও পাঁচটি বিশেষ উপাচার উল্লেখ করা হয়েছে, যা দেবতার অনুগ্রহ লাভে সহায়ক বলে ধরা হয়।
-
হলুদ রঙের চাল (১.২৫ কেজি) – সমৃদ্ধি ও আধ্যাত্মিক পবিত্রতার প্রতীক।
-
নারকেল – অহংবর্জিত ভক্তির প্রতীক।
-
আখ – মিষ্টতা, উর্বরতা ও প্রাচুর্যের প্রতীক।
-
পদ্মফুল – আধ্যাত্মিক উন্নতি ও নির্মলতার প্রতীক।
-
কলা পাতা – পরিবেশবান্ধব ও পবিত্র ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত।
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য
ভক্তিমূলক আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে এই নিবেদনগুলির গভীর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। গণপতি কেবল বাধা অপসারণকারী নন, তিনি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দাতা বলেও পূজিত হন। এই বিশেষ নিবেদনগুলি সেই ভূমিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এর মাধ্যমে জীবনে নতুন সুযোগ, মানসিক স্বচ্ছতা ও শান্তি লাভ সম্ভব।
দশ দিনের উত্সবের আবহ
গনেশ চতুর্থী কেবল এক দিনের অনুষ্ঠান নয়, বরং তা টানা দশ দিনের উত্সব। প্রতিদিন ভক্তরা ভিন্ন ভিন্ন আচার মেনে চলেন। নতুন বছরে অশুভ শক্তি ও জীবনের অন্তরায় দূর করার উদ্দেশ্যে এই সময় ভক্তরা নিবেদন ও পূজার মাধ্যমে দেবতার আশীর্বাদ কামনা করেন। মোদকের পাশাপাশি এই পাঁচ নিবেদন উৎসবে আধ্যাত্মিক ভারসাম্যকে আরও দৃঢ় করে তুলবে বলে জ্যোতির্বিদরা মনে করছেন।
২০২৫ সালের গনেশ চতুর্থী ভক্তদের কাছে এক অনন্য সুযোগ নিয়ে আসছে। প্রথার বাইরে গিয়ে পাঁচটি বিশেষ নিবেদনের মাধ্যমে ভক্তরা কেবল ভক্তিপূর্ণ আচার পালন করবেন না, বরং দেবতার আশীর্বাদের সঙ্গে জীবনে সমৃদ্ধি, শান্তি ও আধ্যাত্মিক শক্তি লাভের আশা করবেন।