আধার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক, আধার কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমাণ? এই প্রশ্ন নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা স্তরে আলোচনা চলছে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন UIDAI প্রধান ভূবনেশ কুমার। তিনি স্পষ্ট করেছেন, আধার কেবলমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবে কার্যকর হলেও নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কোনও প্রমাণপত্র নয়।
কারা পেতে পারেন আধার
UIDAI প্রধান জানিয়েছেন, আধার এমন একটি foundational ID যা নাগরিক, অনাগরিক, এনআরআই, বিদেশি নাগরিক, শিশু এমনকি নবজাতকদেরও দেওয়া যেতে পারে। শর্ত হল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কমপক্ষে ১৮২ দিন ভারতে বসবাস করতে হবে। এনআরআইদের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ ছাড় রয়েছে। ফলে নাগরিকত্ব প্রমাণের সঙ্গে আধারের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বিহারের Special Intensive Revision (SIR) প্রক্রিয়ার সময় আধারকে দ্বাদশ বৈধ পরিচয়পত্র হিসেবে মেনে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য আধার ব্যবহারযোগ্য হলেও এটি কোনওভাবেই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না।
আধারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
আধারকে অন্যান্য পরিচয়পত্র থেকে আলাদা করেছে এর বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি। এতে নেওয়া হয়—
-
১০টি আঙুলের ছাপ
-
২টি চোখের মণির স্ক্যান
-
১টি মুখমণ্ডলের ছবি
মোট ১৩ ধরনের বায়োমেট্রিক তথ্য একত্রে যুক্ত করে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য তৈরি হয় স্বতন্ত্র পরিচয়।
QR কোড ও অফলাইন যাচাই
আধার কার্ডে যুক্ত থাকে একটি QR code, যাতে সংরক্ষিত থাকে নাম, ছবি, লিঙ্গ ও জন্মতারিখের মতো তথ্য। এগুলি ডিজিটালি সাইন করা থাকে এবং UIDAI-র অফিসিয়াল অ্যাপের মাধ্যমে অফলাইনে যাচাই করা যায়। এর ফলে internet না থাকলেও আধার কার্ডকে সহজেই ভেরিফাই করা সম্ভব।
উপসংহার
সব মিলিয়ে আধার আজ দেশের অন্যতম শক্তিশালী পরিচয়পত্র হলেও নাগরিকত্ব প্রমাণের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আদালতের পর্যবেক্ষণ ও UIDAI প্রধানের বক্তব্য একসঙ্গে প্রমাণ করেছে যে আধার হল পরিচয়ের আধার, নাগরিকত্বের নয়।