উত্তপ্ত হয়ে আছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাল্টা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। বৈঠকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা—এখন বিভেদ নয়, একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সময়।
সতর্ক থাকার বার্তা, আতঙ্ক নয়
বৈঠক শেষে মমতা বলেন, “অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব—এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ আধিকারিক, জেলা প্রশাসন এবং থানাগুলিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারিও। এমনকি এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সমস্ত সরকারি ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
গুজবে কান নয়, অপপ্রচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ
মমতার কড়া বার্তা, গুজব বা বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো চলবে না। কারও বিরুদ্ধে যদি অপপ্রচার ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “এখন দেশের স্বার্থে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে,” বলেন তিনি।
বৈঠকে কারা ছিলেন?
পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং প্রশাসনিক প্রধানদের। বৈঠকে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, সিকিম এবং লাদাখের প্রতিনিধিরাও। সূত্রের খবর, বৈঠকে সুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় এবং কীভাবে রাজ্য ও কেন্দ্র যৌথভাবে কাজ করবে, সে সম্পর্কেও দিকনির্দেশ দেওয়া হয়।
সেনা হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’
পহেলগাঁও বিস্ফোরণের ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সীমান্তে উত্তেজনা আরও চড়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বৈঠক, এবং মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “এখন সময় দেশকে রক্ষা করার, দলীয় রাজনীতির নয়।”