TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

এবার ক্যামেরার নজরে পুরনো গাড়ি! দূষণ রোধে অভিনব পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর

দূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে দিল্লি সরকার। ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে শুধুমাত্র BS6, CNG ও EV বাণিজ্যিক গাড়িকেই দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি। কীভাবে কাজ করবে ANPR ক্যামেরা? জানুন বিস্তারিত।

Debapriya Nandi Sarkar

দিল্লির দূষণ নিয়ে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে দেশজুড়ে। প্রতিবছর শীত এলেই শহর ঢেকে যায় ধোঁয়াশায়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে স্কুল বন্ধ, মাস্ক বাধ্যতামূলক ও বাইরে হাঁটা পর্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর এই দূষণের অন্যতম বড় উৎস— পুরনো, ধোঁয়া ছড়ানো গাড়ি।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে দিল্লিতে ঢুকতে পারবে শুধুমাত্র BS6, CNG অথবা ইলেকট্রিক (EV) বাণিজ্যিক গাড়ি। পুরনো এবং দূষণকারী গাড়িগুলিকে এবার রীতিমতো রাস্তায় নামতেই দেওয়া হবে না।“দিল্লিতে ঢুকলেই এবার গাড়িকে পরীক্ষা দেবে ক্যামেরার সামনে। দূষণ ছড়ালেই সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়বে, থামিয়ে দেওয়া হবে।” — বললেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা।

কীভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা?

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, শহরের প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হবে ANPR (Automatic Number Plate Recognition) ক্যামেরা। এই ক্যামেরা গাড়ির নম্বর প্লেট স্ক্যান করে বুঝে যাবে সেটি কোন শ্রেণির, কত বছরের পুরনো এবং কতটা দূষণ ছড়ায়।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

যদি দেখা যায় কোনও ‘end-of-life vehicle’ অর্থাৎ যেসব গাড়ির রাস্তায় চলার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, সেগুলি দিল্লিতে ঢুকছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুধু তাই নয়, এই ক্যামেরা থাকবে প্রতিটি পেট্রল পাম্পেও। গোপনে পুরনো গাড়ি চালিয়ে কেউ যাতে জ্বালানি না পায়, তাও নজরে রাখবে এই প্রযুক্তি।

বাতিল গাড়ির বিরুদ্ধে যুদ্ধ

বহু বছর ধরেই পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকরা বলে আসছেন, দিল্লির দূষণের পিছনে সবচেয়ে বড় দায় পুরনো ডিজেল ও পেট্রলচালিত গাড়ির। এমনকি ‘end-of-life vehicle’ রাস্তায় চলা বন্ধ হলেও বহু চালক তা এড়িয়ে চলেন। এবার সেই ফাঁক বন্ধ করতে চাইছে সরকার।

এবার আর লোকচক্ষুর নজরে নয়, ক্যামেরার চোখেই ধরা পড়বে দূষণ ছড়ানো যান। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে শীতকালীন দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে।

বিরোধীদের কটাক্ষ ও নাগরিকদের প্রশ্ন

যদিও সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশপ্রেমীরা, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে। অনেকের মতে, পুরনো গাড়ি মালিকদের পুনর্বাসন বা বিকল্প পথ না দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।

নাগরিকরাও জানতে চাইছেন, বেসরকারি গাড়িগুলির ক্ষেত্রেও কি এই নিয়ম কার্যকর হবে? সরকার এখনও সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।

পরিবর্তনের পথে দিল্লি?

দিল্লি ইতিমধ্যেই দেশের অন্যতম দূষিত শহরের তালিকায় একাধিকবার উঠে এসেছে। এখন সরকার প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে সেই বদনাম ঘোচাতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা,“দিল্লি যেন এমন শহর হয় যেখানে মানুষ নিঃশ্বাস নিতে ভয় না পায়।”

এই কড়াকড়ি কতটা কার্যকর হয়, তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে— এবার গাড়ির নম্বর প্লেটই হয়ে উঠবে দূষণের লাইসেন্স বা শাস্তির চাবিকাঠি।