কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। এই ঘটনার পরে ভারত ঘোষণা করেছিল প্রতিশোধ নেবে। তারই ফলস্বরূপ গতকাল ভারত পাকিস্তানের উপর কড়া প্রতিশোধমূলক অভিযান চালায়, যার নাম —‘অপারেশন সিঁদুর’। সূত্রের খবর, ওই অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মিসাইল হামলায়। মৃত্যু হয়েছে বহু জঙ্গির। এই ঘটনার পরই ফের একবার উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-পাক সম্পর্ক ঘিরে।
পাকিস্তানি কনটেন্টে নিষেধাজ্ঞা, কড়া অবস্থান ভারত সরকারের
ভারত পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার আবহেই ফের বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, পাকিস্তানে তৈরি সমস্ত ওয়েব সিরিজ, সিনেমা, গান, পডকাস্ট ও এই ধরনের কনটেন্ট অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে সমস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে। অর্থাৎ, Netflix, Amazon Prime, YouTube বা অন্য কোনও মাধ্যমে ভারতে বসে পাকিস্তানি কোনও বিনোদনমূলক কনটেন্ট আর দেখা যাবে না।
জাতীয় স্বার্থে কড়া পদক্ষেপ
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে—যে কোনও সম্প্রচারমাধ্যম বা প্ল্যাটফর্ম যেন এমন কোনও বিষয়বস্তু না দেখায়, যা দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা বা ভারতের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী যোগাযোগ রয়েছে বলেই মনে করছে কেন্দ্র। তাই জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত।
ধ্বংস পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স, কাজে ‘সুদর্শন’ S-400
এদিন আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেয় ভারত। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে হামলা চালিয়ে সেটিকে কার্যত ভেঙে চুরমার করে দেয় ভারতীয় সেনা। লাহোর ও রাওয়ালপিণ্ডির HQ-9 সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যায়। পাকিস্তানের হাতে থাকা চিনা প্রযুক্তির এই সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়ে।
ভারতের এই আক্রমণে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক S-400 অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম, যার কোডনেম ‘সুদর্শন’। প্রথমবার যুদ্ধক্ষেত্রে এই রাশিয়ান প্রযুক্তি ব্যবহার করল ভারত। পাকিস্তানের রেডার সিস্টেম ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা নেয় ভারতীয় Harpy ড্রোন। ইসলামাবাদে জারি হয় সতর্কতা, বাজতে থাকে সাইরেন।
উল্লেখ্য, এর আগেই ভারতের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রী ও নেট-ইনফ্লুয়েন্সারদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করে। এবার বিনোদন দুনিয়াতেও তার রেশ পড়ল।