যাত্রীভর্তি বিমানটা যখন পুনের রানওয়েতে নামল, তখন হয়তো কেউই আঁচ করতে পারেননি, কতটা বড় বিপদ তারা সেদিন এড়িয়ে গেলেন। কারণ বিমানটি বার্ড হিটের শিকার হয়েছিল ঠিক তখনই। তবু চূড়ান্ত সতর্কতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন ১০০-র বেশি যাত্রী।
পুনে নামতেই ধরা পড়ে সমস্যা
ঘটনাটি ঘটেছে ২০ জুন, ২০২৫, দিল্লি থেকে পুনে আসা একটি এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটে। বিমানটি রানওয়েতে অবতরণের পরে, গ্রাউন্ড স্টাফ লক্ষ্য করেন বিমানের শরীরে পাখির ধাক্কার চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ইঞ্জিনিয়ারিং চেক।
বাতিল হল ফেরার ফ্লাইট
পাখির ধাক্কার ঘটনায় বিমানটিকে আর যাত্রী নিয়ে উড়তে দেওয়া হয়নি। তাই নির্ধারিত পুনে থেকে দিল্লি ফেরার ফ্লাইটটি বাতিল করে দেওয়া হয়। বিমানটি তখনই গ্রাউন্ডেড করে রাখা হয় নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষার জন্য। যদিও এই ঘটনায় কোনও যাত্রী বা কর্মী আহত হননি, এবং বিমানও সুরক্ষিতভাবেই অবতরণ করেছিল।
যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়—যাঁদের ফিরতি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, তাঁদের জন্য ফুল রিফান্ড বা ফ্রি রিসিডিউলিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য বিকল্প ট্রাভেল প্ল্যানও সাজানো হয়। সংস্থার এই তৎপরতা যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরায়।
বার্ড হিট: ক্রমশই বড় হুমকি
এই ঘটনা আবারও সামনে এনে দিল, বিমানবন্দরের আশেপাশে পাখির আনাগোনার কারণে তৈরি হওয়া বিপদের বিষয়টি। সারা বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ভারতে বড় বড় শহরের এয়ারপোর্টগুলিতে বার্ড হিট আজ এক বড় অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাখির ধাক্কা বিমান ইঞ্জিনে পড়লে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
বিমানবন্দরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
এই পরিস্থিতিতে, সম্প্রতি পুনে বিমানবন্দরে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) একাধিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—সাউন্ড গানের মাধ্যমে পাখি তাড়ানো, এবং রানওয়ের আশেপাশে বাস্তুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। এই উদ্যোগের ফলে কিছুটা হলেও বার্ড হিটের প্রবণতা কমানো সম্ভব হচ্ছে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা।