TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

ISRO : NASA নয়, মহাকাশে এবার ভারত! ISS-এ উড়ে গেলেন ভারতীয় পাইলট

ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা উড়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। গগনযান মিশনের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবেই এই পদক্ষেপ। ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ মিশনের আগে কী শিখছে ইসরো?

Debapriya Nandi Sarkar

ISRO : ভারতের মানব মহাকাশ অভিযানের প্রস্তুতি এখন শেষ ধাপে। তারই অঙ্গ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। মার্কিন বেসরকারি সংস্থা Axiom Space-এর বাণিজ্যিক মহাকাশ মিশন Axiom-4-এর অংশ হিসেবেই এই ঐতিহাসিক অভিযানে সামিল হচ্ছেন তিনি।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

গগনযানের আগে আন্তর্জাতিক অভিযানে ভারতীয় মহাকাশচারী

ভারতের বিজ্ঞানী তপন মিশ্র জানিয়েছেন, “২০২৫ সালের মধ্যেই ইসরো ‘গগনযান’ মিশনের মাধ্যমে এক বা একাধিক ভারতীয় মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই চারজন মহাকাশচারী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রাথমিক ও একজন ব্যাকআপ মহাকাশচারী অংশ নিচ্ছেন এই Axiom-4 মিশনে।” এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য ভারতের নিজস্ব মহাকাশযাত্রার প্রস্তুতি আরও মজবুত করা। শুভাংশুর মতো প্রশিক্ষিত পাইলটদের বিভিন্ন লঞ্চ সিস্টেম, মহাকাশযানের পরিবেশ ও ইমার্জেন্সি ব্যবস্থাগুলি সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দেওয়াই হল এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।

রাশিয়া থেকে মার্কিন মাটি—দু’দেশের অভিজ্ঞতা

চার মহাকাশচারীকে প্রথমে রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেখানে মূলত সোভিয়েত ধাঁচের মহাকাশযান ও লঞ্চ পদ্ধতির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করানো হয়। বর্তমানে, তাঁদের আমেরিকার NASA এবং Axiom Space-এর প্রশিক্ষণেও অংশ নিতে হচ্ছে, যেখানে তাঁরা আধুনিক মহাকাশ স্টেশন, বাণিজ্যিক মহাকাশযান এবং মার্কিন উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। তপন মিশ্রর কথায়, “এই দু’ধরনের অভিজ্ঞতা ভারতের ভবিষ্যতের মিশন গুলিকে অনেক বেশি সুরক্ষিত ও সফল করে তুলবে। কারণ, এতে আমরা বুঝতে পারছি—বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থার কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং কোন প্রক্রিয়াগুলি অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমে।”

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

৬৫ মিলিয়ন ডলারের মহাকাশ শিক্ষা

প্রসঙ্গত, এই Axiom-4 মিশনে একজন মহাকাশচারী পাঠাতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা। যদিও তা বিশাল অঙ্ক মনে হলেও, গগনযানের মতো জাতীয় গর্বের মিশনের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক বিনিয়োগ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মহাকাশ অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নয়—এটি ভবিষ্যতের জন্য এক অমূল্য পাথেয়।

গগনযানের ক্ষণ গোনা শুরু

২০২5 সালের মধ্যেই ইসরোর গগনযান উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য সময় নির্ধারিত হয়েছে। এখন চলছে মহাকাশযান, ক্রু মডিউল ও সাপোর্ট সিস্টেমের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। গগনযান ভারতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাসে প্রথম মানব মহাকাশ মিশন—যেখানে সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযানে উড়বেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা। এই প্রেক্ষাপটে Axiom-4 মিশনের মতো অভিজ্ঞতা ভারতীয় ক্রুদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং সম্ভাব্য বিপদের মোকাবিলা করতে তৈরি রাখবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ব যখন নতুন মহাকাশ দিগন্তে পা রাখছে, তখন ভারতও পিছিয়ে নেই। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখা শুধুমাত্র একটি মহাকাশ মিশন নয়—এটি গগনযানের প্রথম পদক্ষেপ, যেখান থেকে তৈরি হবে ভবিষ্যতের এক নতুন ভারত।