Kailash Manasarovar : কোভিড এবং সীমান্ত সংঘর্ষের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আবার চালু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত কৈলাস মানসরোবর যাত্রা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩০ জুন ২০২৫ থেকে ফের শুরু হচ্ছে এই তীর্থযাত্রা, চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত।
নতুন চমক: এবার থাকবে দুটি অভিবাসন পোস্ট
সোমবার প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই বছর তীর্থযাত্রীদের জন্য অস্থায়ীভাবে দুটি অভিবাসন চেকপোস্ট চালু করা হচ্ছে। একটি সিকিমের নাথু লা পাস, অন্যটি উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস (গুঞ্জি)। এখান থেকেই হবে ভারতের এন্ট্রি এবং এক্সিট প্রসেসিং। সরকারি ভাবে এই দুই জায়গাকে “অনুমোদিত অভিবাসন চেকপোস্ট” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
দুই রুটে ভাগ তীর্থযাত্রা, থাকছে ১৫ ব্যাচ
এপ্রিল মাসে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, লিপুলেখ রুটে ৫টি ব্যাচ এবং নাথু লা রুটে ১০টি ব্যাচ মিলিয়ে মোট ১৫টি ব্যাচে তীর্থযাত্রীদের পাঠানো হবে। প্রতিটি ব্যাচে ৫০ জন করে থাকবেন। অর্থাৎ এই বছরে প্রায় ৭৫০ জন ভারতীয় নাগরিক তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন।
৫ বছর আগে যেখানে থেমেছিল যাত্রা…
২০২০ সালে করোনা অতিমারীর কারণে তীর্থযাত্রা স্থগিত করে কেন্দ্র। এরপর সীমান্তে ভারত-চিন সামরিক অচলাবস্থার জেরে তা আর চালু করা যায়নি। অবশেষে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ফের খুলছে পবিত্র কৈলাস মানসরোবর যাত্রার দুয়ার।
ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম
হিন্দু ধর্মে কৈলাস পর্বতকে ভগবান শিবের আবাসস্থান হিসেবে মানা হয়। মানসরোবর হ্রদ আবার পবিত্রতার প্রতীক। শুধু হিন্দু নয়, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও এই স্থানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। তাই এই যাত্রা শুধু একটি পর্যটন অভিযান নয়, বরং এক গভীর আত্মিক অন্বেষণ।
ভ্রমণকারীদের জন্য কড়া নির্দেশিকা
সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই যাত্রায় অংশ নিতে ইচ্ছুকদের কাছে বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি থাকা বাধ্যতামূলক। সমস্ত যাত্রীকে চিকিৎসা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং উচ্চতা সহনশীলতা যাচাই করে তবেই অনুমতি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কৈলাস মানসরোবর শুধু একটি গন্তব্য নয়, বরং একটি আত্মিক যাত্রা, বহু ধর্মের মানুষের বিশ্বাস ও অনুভূতির কেন্দ্রস্থল। তাই এই যাত্রার ফের শুরু হওয়া শুধু ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং কোটি কোটি মানুষের এক গভীর আস্থা ও আশা পুনরুজ্জীবনের দিন। এবার দেখার, কতজন সেই পবিত্র ডাক শুনে পাড়ি দেন কৈলাসের পথে।