ভারতের তরফে পাকিস্তানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—আর কোনও রকম ভুলচুক বরদাস্ত করা হবে না। সম্প্রতি সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একরকম স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে, যদি পাকিস্তান আবার মিসাইল ছোঁড়ে, তবে তা শুধু সীমান্ত লঙ্ঘন নয়, সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণারই নামান্তর। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস হবে না।
সংঘর্ষবিরতির আড়ালে সন্ত্রাসের চেষ্টা?
ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তরের সূত্রের দাবি, পাকিস্তান যদি আবার সংঘর্ষবিরতির সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করে বা সামরিক কোনও উস্কানি দেয়, তাহলে তার জবাব দেওয়া হবে কড়া ভাষায়। কোনও রকম দেরি করা হবে না। ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
কূটনৈতিক স্তরেও চাপ
একই সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরেও পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। আন্তর্জাতিক মহলে বারবার তুলে ধরা হচ্ছে, কিভাবে শান্তি আলোচনার আড়ালে পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিচ্ছে। বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ঘন ঘন সক্রিয়তা নিয়ে ভারতের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সেনার প্রস্তুতি তুঙ্গে
ভারতীয় সেনা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু কেউ যদি আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে ছেলেখেলা করতে আসে, তার জবাব দিতে প্রস্তুত আছি।”
উত্তেজনার পারদ চড়ছে
এই হুঁশিয়ারির পর দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।