অসমের গোলাঘাট জেলার ডুমুখিয়া গ্রামে ঘটে গেল এক চরম মর্মান্তিক ঘটনা। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান থেকে পথ হারিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চলে আসে গ্রামে। আর তারপরই ঘটে এক বিভীষিকাময় কাণ্ড।
মানুষখেকো সন্দেহেই ক্ষিপ্ত জনতা
বাঘটিকে দেখে আতঙ্কে তটস্থ হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। কারও কারও দাবি, বাঘটি নাকি কয়েকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই আতঙ্ক থেকেই জনতা একজোট হয়ে হাতে তুলে নেয় বর্শা, রড, দা—আর শুরু হয় নৃশংস আক্রমণ।
চামড়া ছাড়িয়ে কেটে নেওয়া হল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
বাঘটিকে হত্যা করার পরও থেমে থাকেনি হিংস্রতা। বনদপ্তর জানায়, তার শরীর থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে চামড়া, কান, দাঁত, এমনকি লেজ ও মাংসও। গোটা শরীর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এমনকি নখ ও গোঁফ পর্যন্ত উপড়ে ফেলা হয়েছে।
পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা, তদন্তে বনদপ্তর
বন ও পুলিশ বিভাগ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও, ততক্ষণে বাঘটির প্রাণ শেষ। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। বন দপ্তর ইতিমধ্যেই একটি মামলা রুজু করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
চ্যালেঞ্জের মুখে পরিবেশ আইন
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, এমন নির্মমতা শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, গোটা দেশের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ভারতের জাতীয় প্রাণী—এভাবে তার মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক।