জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বস্কুচন এলাকায় গতকাল রাতে গোপনে চালানো অভিযানের পর আত্মসমর্পণ করে লস্কর-ই-তইবার দুই ‘হাইব্রিড’ জঙ্গি। ধৃতদের নাম ইরফান বশির ও উজাইর সালাম।
কী কী উদ্ধার হল?
অভিযান চলাকালীন এই দুই জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে—
- ২টি AK-56 রাইফেল
- ৪টি ম্যাগাজিন
- ১০২ রাউন্ড ৭.৬২×৩৯মিমি গুলি
- ২টি হ্যান্ড গ্রেনেড
- ২টি পাউচ
এই বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার দেখে স্পষ্ট, বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল। তবে সময়মতো অভিযান চালিয়ে সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিলো নিরাপত্তা বাহিনী।
কারা এই ‘হাইব্রিড’ জঙ্গি?
‘হাইব্রিড’ জঙ্গি বলতে বোঝানো হয় সেইসব ব্যক্তিদের, যারা স্বাভাবিক জীবনে সাধারণ মানুষের মতো থাকলেও, গোপনে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকে। এরা নির্দেশ পেলে হামলা চালায়, আবার তারপর স্বাভাবিক জীবনে মিশে যায়। ইরফান ও উজাইরও সেই রকমই দুই হাইব্রিড মডিউলের সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ
এই ঘটনার পর শোপিয়ান থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা হচ্ছে, তারা কোথা থেকে অস্ত্র পেয়েছিল, কার নির্দেশে চলছিল এবং ভবিষ্যতে আরও কেউ এই চক্রে জড়িত কিনা। তদন্তের জন্য স্পেশাল ইউনিটও মাঠে নেমেছে।
উপত্যকায় নিরাপত্তা আঁটসাঁট
এই ঘটনার পর গোটা শোপিয়ান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে কোনওরকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে।
এই অভিযান আরও একবার প্রমাণ করে দিল, জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও সক্রিয় রয়েছে জঙ্গি চক্র। তবে সেনা ও পুলিশের কড়া নজর এবং সঠিক সময়ে পদক্ষেপের ফলে বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।