যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের বিশ্ব বাণিজ্য জগতে উত্তেজনা ছড়ালেন। তিনি আবারও ঘোষণা করেছেন, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক বসানো হবে।
এই সিদ্ধান্ত সরাসরি প্রভাব ফেলবে ভারতের রপ্তানি খাতে, বিশেষ করে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পদক্ষেপে ভারত প্রায় ₹৩৮,০০০ কোটি টাকার রপ্তানি রাজস্ব হারাতে পারে।
রপ্তানিকারকদের আশঙ্কা বাড়ছে
ভারত থেকে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ভারতের ওই খাতগুলোর জন্য মার্কিন বাজার অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুল্ক বাড়ানোর ফলে ভারতীয় পণ্যের মূল্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। এতে করে চুক্তি বাতিল, নতুন অর্ডার কমে যাওয়া এবং কর্মসংস্থানে ধস নেমে আসতে পারে।
মোদি সরকারের পাল্টা চালের প্রস্তুতি
এই পরিস্থিতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও চুপ করে বসে নেই। সূত্রের খবর, ভারত পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য একাধিক পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। এতে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর উপর চাপ তৈরি হতে পারে এবং আলোচনার দরজা আবার খুলতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রক ও অর্থ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে কীভাবে ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় এবং দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করা যায়।
বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
ভারত-আমেরিকা মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সমঝোতা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু এই নতুন শুল্কের সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে সেই আলোচনার উপর কুয়াশা ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু অর্থনৈতিক নয়, কূটনৈতিক স্তরেও একটা টানাপোড়েন শুরু হতে পারে।
আর্থিক ক্ষতি ও সম্ভাব্য প্রভাব
ভারতের জন্য এই ধাক্কা শুধুমাত্র বাণিজ্যিক নয়—এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতির উপরেও, জানুন –
- রপ্তানির হার কমবে
- রপ্তানিকারী সংস্থাগুলির আয় হ্রাস পাবে
- শিল্পে কর্মসংস্থান কমতে পারে
চলমান প্রকল্পগুলিতে ধাক্কা লাগতে পারে
এই পরিস্থিতিতে খুব দ্রুত ও কার্যকরী কূটনৈতিক পদক্ষেপ না নিলে ভারতের রপ্তানি খাত বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য আজ চরম প্রতিযোগিতার মধ্যে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের অর্থনীতির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ এনে দিল। এখন দেখার বিষয়, মোদি সরকার কত দ্রুত এবং কীভাবে পাল্টা জবাব দিতে সক্ষম হয়।