শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা উপেক্ষা করেই কলকাতা পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর আগমন ঘিরে বিমানবন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা, উপস্থিত ছিলেন দলের একাংশ নেতারা। কিন্তু চোখে পড়লেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে প্রশ্ন উঠছে—এত বড় রাজনৈতিক সফরে তাঁরা কোথায়?
শুভেন্দু–সুকান্ত কোথায়? অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা নেই
অমিত শাহের মত হাইপ্রোফাইল নেতার সফরে রাজ্য নেতৃত্বের প্রধান দুই মুখের অনুপস্থিতি সাধারণ নয়। এই ঘটনা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনার সৃষ্টি করেছে। বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন উঠেছে, সত্যিই কি এই অনুপস্থিতি ছিল ‘প্ল্যানড’? নাকি দলের অভ্যন্তরীণ কোনও টানাপোড়েনের ইঙ্গিত?
দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি, বার্তা দিচ্ছে অন্য কিছু?
এই সফরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা দিলীপ ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্বে ছিলেন বলে শোনা যায়। এবার অমিত শাহের সফরে তাঁর সামনের সারিতে থাকা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের চোখে নতুন বার্তা। দিলীপ ঘোষ কি তবে ফের মূল স্রোতে ফিরছেন?
অভ্যন্তরীণ বিভাজন না কৌশল?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অমিত শাহের সফরের আগেই দলের অভ্যন্তরে মতানৈক্য স্পষ্ট হচ্ছিল। এই অনুপস্থিতি কি সেই মতপার্থক্যেরই বহিঃপ্রকাশ? নাকি পরিকল্পিতভাবে এক কৌশল মেনে এই সিদ্ধান্ত? শুভেন্দু বা সুকান্ত—দু’জনের পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক তরজা বাড়ার সম্ভাবনা
এই ঘটনা নিয়ে শাসক দলের তরফে ব্যঙ্গ–বিদ্রুপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, “এ কোন দল? নিজের নেতাকেই স্বাগত জানাতে যায় না রাজ্য নেতৃত্ব!” অপরদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু না বললেও অস্বস্তি স্পষ্ট।
সামনেই লোকসভা, কী বার্তা দিচ্ছে এই ছবি?
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রেক্ষিতে অমিত শাহের সফরকে ঘিরে এমন বিভ্রান্তিকর চিত্র দলীয় ঐক্যের প্রশ্ন তুলছে। আগামী দিনে এই অভ্যন্তরীণ সংকট কী মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।