ভুত নিয়ে যাঁদের কৌতূহল, প্যারানর্মাল জগতে যাঁদের বিশ্বাস, তাঁদের কাছে অ্যানাবেল নামটা যেন এক ভয়ঙ্কর ইতিহাস। সেই ভুতুড়ে পুতুল নিয়েই সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে গুজব— নিখোঁজ হয়ে গেছে অ্যানাবেল! আমেরিকায় প্যারানর্মাল ট্যুরে গিয়ে হঠাৎ করেই ‘নেই’ হয়ে যায় পুতুলটি। খবর শুনে আতঙ্ক ছড়ায় ভক্তদের মধ্যে।
মালিকের দাবি— নিরাপদেই আছে পুতুল
অ্যানাবেলের বর্তমান মালিক টোনি স্পেরা জানান, পুতুলটি কোথাও গায়েব হয়নি। প্যারানর্মাল ট্যুরে নিয়ে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে পরে সেটিকে সুরক্ষিতভাবেই ফেরত আনা হয়েছে কানেটিকাটের ওয়ারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে। তাঁর কথায়, “পুতুলটি একবারের জন্যও লাগামছাড়া আচরণ করেনি। আমরা যথেষ্ট সতর্কতা নিয়েই ট্যুর করেছি।”
তবু ঘটছে অঘটন!
তবে এখানেই শেষ নয় রহস্য। অনেকেই বলছেন, অ্যানাবেলের উপস্থিতি ঘিরে আবারও ঘটেছে অস্বাভাবিক ঘটনা। যেমন, নিউ ওরলিন্সে পুতুল পৌঁছনোর পরই ১৫ মে আগুন লাগে নোট্টোওয়ে প্ল্যান্টেশনে। পরদিন, ১৬ মে, স্থানীয় জেল থেকে পালিয়ে যায় কুখ্যাত অপরাধীরা। যদিও ধরা পড়ে তারা, কিন্তু অনেকেই এই ঘটনার নেপথ্যে ‘অ্যানাবেলের অভিশাপ’ দেখছেন।
কে এই অ্যানাবেল?
১৯৭০ সালে প্রথম সামনে আসে অ্যানাবেলের গল্প। এক তরুণীর জন্মদিনে উপহার হিসেবে আনা হয়েছিল কাপড়ের একটি পুতুল। তার পর থেকেই শুরু অদ্ভুত সব ঘটনা— পুতুল নিজের জায়গা বদল করত, শিশুর হাতের লেখায় বার্তা আসত, এমনকি পুতুলের পাশে রক্তও দেখা গিয়েছিল! পরে জানা যায়, পুতুলটির মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে এক শিশুর আত্মা— অ্যানাবেল হিগিন্স।
যাত্রা মিউজিয়ামে বন্দি হওয়ার
এড ও লরেন ওয়ারেন নামে দুই প্যারানর্মাল বিশেষজ্ঞ পুতুলটি নিয়ে যান নিজেদের বাড়িতে, যেখানে পরবর্তীতে তৈরি হয় ওয়ারেন অকাল্ট মিউজিয়াম। আজও সেখানেই তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা আছে অ্যানাবেল। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে তার চারপাশের গল্প।
ভয়ের গল্প কি থামবে?
অ্যানাবেল ফিরে এলেও, তার ঘিরে ভয় ও সন্দেহ থামেনি। কাকতালীয় নাকি সত্যিই অভিশপ্ত? তা হয়তো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। তবে এটুকু বলা যায়— অ্যানাবেলের গল্প এখনও শেষ হয়নি