TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

Ration Update : চার মাসের রেশন একসঙ্গে! সরকারের নয়া চাল, উপকৃত লক্ষ লক্ষ মানুষ

দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান? দুর্গম গ্রামে একসঙ্গে চার মাসের রেশন পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। কীভাবে মিলবে সুবিধা, কারা পাবেন, জানুন বিস্তারিত।

Debapriya Nandi Sarkar

Ration Update : কৃষক, আদিবাসী, ও দুর্গম এলাকার মানুষদের জন্য সুখবর নিয়ে এল রাজ্য প্রশাসন। এবার থেকে একসঙ্গে চার মাসের রেশন পৌঁছে যাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। উদ্যোগটা নতুন নয়, কিন্তু বাস্তবায়ন এতটা জোরদার আগে দেখা যায়নি।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

সময়ের আগেই রেশন পৌঁছনোর ঘোষণা

গত ১৯ জুন একটি নির্দেশিকা জারি করে ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার জানায়, এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে সময়ের আগেই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে বিশেষ নজর দেবে খাদ্য দফতর। এর কিছুদিনের মধ্যেই সামনে এল আরও বড় ঘোষণা—দুর্গম এলাকার রেশন কার্ডধারীরা একসঙ্গে চার মাসের রেশন পাবেন। এই ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি রাজ্যের হাজার হাজার গ্রামবাসী।

রেশন নয়, উৎসবের আবহ

‘চাল উৎসব’-এর আবহে ছত্তিশগড়ের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রেশন বিতরণ। বিজাপুর জেলার কালেক্টর সম্বিত মিশ্রের উদ্যোগে বস্তার বিভাগের বহু গ্রামে ট্র্যাক্টরের মাধ্যমে চাল পৌঁছে যাচ্ছে মূল পঞ্চায়েতে। শুধু চাল নয়, সঙ্গে থাকছে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীও।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

দুর্গম এলাকায় পৌঁছচ্ছে সরকারের সেবা

দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল, রাজ্যের অনেক দূরবর্তী ও বনভূমি ঘেরা অঞ্চলে মানুষ ঠিকমতো রেশন সুবিধা পান না। বর্ষাকালে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সমস্যা আরও তীব্র হয়ে দাঁড়ায়। এবার সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নেমেছে প্রশাসন।

খাদ্য কর্মকর্তা নারায়ণ প্রসাদ গাভেল জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৭০টি এমন কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে বৃষ্টির মরসুমে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্ত এলাকায় অন্তত চার থেকে ছয় মাসের রেশন মজুত করে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গুদাম তৈরি, দোকান স্থানান্তর, বড় পরিকল্পনার ইঙ্গিত

এই প্রকল্পের আওতায় এখনও পর্যন্ত ২২টি রেশন দোকানকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে মূল পঞ্চায়েতে, যাতে পরিবহণে সমস্যা না হয়। পাশাপাশি জেলা খনিজ ট্রাস্ট ফান্ড ও অন্যান্য প্রকল্পের অর্থে তৈরি হচ্ছে ৩৬টি গুদাম। এসব গুদামে রেশন মজুত রেখে সময়মতো বিতরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

প্রশাসনের সঙ্গে মানুষের সংযোগ বাড়ছে

এই উদ্যোগ শুধুই খাদ্য বিলি নয়, বরং মানুষের সঙ্গে সরকারের সরাসরি সংযোগ গড়ে তুলছে। কালেক্টর থেকে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা নিয়মিত গ্রামে গিয়ে নজরদারি করছেন, যাতে কোথাও কোনও অনিয়ম না ঘটে।

এই ব্যবস্থায় কোনও ঘুষ নেই, দালাল নেই, আর দীর্ঘ লাইনের অপেক্ষাও নেই। বরং সোজাসাপটা পদ্ধতিতে মাসের পর মাসের খাদ্যসামগ্রী একবারেই হাতে পাচ্ছেন মানুষ। এক কথায়, জনসংযোগের এক কার্যকরী দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ছত্তিশগড় সরকার।

ধন্যবাদে মুখর জনতা

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর থেকেই উপকৃত মানুষজন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, আগে যেখানে দু’মাসের রেশন পেতেও বহুবার দপ্তরের চৌকাঠ ঘুরতে হত, সেখানে এখন ঘরে বসেই চার মাসের চাল ও খাদ্যসামগ্রী মিলছে। সময় বাঁচছে, অর্থও বাঁচছে।

রাজ্যজুড়ে দৃষ্টান্ত, অন্যদের জন্য বার্তা?

ছত্তিশগড় সরকারের এই পদক্ষেপ যে কেবলমাত্র একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে এর প্রভাব। এ এক সামাজিক উদ্যোগ—যেখানে প্রশাসন ও মানুষ হাতে হাত রেখে এগোচ্ছে।

যদি এই মডেল সফল হয়, তাহলে অন্য রাজ্যগুলোও এমন পরিকল্পনা গ্রহণে আগ্রহ দেখাতে পারে। বিশেষ করে যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।

উল্লেখ্য, অসহায় ও দুর্গম এলাকার মানুষের জন্য সরকারের এই ‘চার মাস একসঙ্গে রেশন’ প্রকল্প নিঃসন্দেহে বড় খবর। শুধুমাত্র চাল নয়, এটি সম্মান, স্বস্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক নতুন দিগন্ত। বাস্তবায়নই এর সবচেয়ে বড় অস্ত্র, আর সেখানে সরকার আপাতত শতভাগ সফল।