Chhattisgarh Accident : ঘণ্টায় ১০০ কিমির গতিতে ছুটছিল গাড়ি। আচমকাই গাড়ির দরজা খুললেন চালক—উদ্দেশ্য মাত্র একটাই, পানের পিক ফেলা। কিন্তু সেই সামান্য কাজই ডেকে আনল ভয়াবহ বিপর্যয়। মুহূর্তেই উল্টে যায় গাড়ি, পাল্টি খেতে খেতে ধাক্কা মারে আরও দুটি গাড়িতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু এক ব্যবসায়ীর, জখম আরও দুই যাত্রী। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
কোথায় ও কবে ঘটল দুর্ঘটনা?
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিসগড়ের বিলাসপুর-রায়পুর হাইওয়ের উপর। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার (১ জুন) গভীর রাতে বিলাসপুর লাগোয়া এলাকায় ভয়াবহ এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিমি।
কারা ছিলেন গাড়িতে?
নিহত ব্যক্তির নাম জ্যাকি গেহি (৩১)। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী, বিলাসপুরেই তাঁর ব্যবসা। দুর্ঘটনার রাতে জ্যাকি গাড়িতে ছিলেন তাঁর দুই বন্ধু আকাশ চান্দানি ও পঙ্কজ ছাবড়ার সঙ্গে। চালকের আসনে ছিলেন আকাশ। সামনের সিটে বসেছিলেন পঙ্কজ এবং পিছনের সিটে জ্যাকি।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
পুলিশ জানায়, চলন্ত গাড়ি থেকে পানের পিক ফেলতে গিয়ে দরজা খোলেন চালক আকাশ। সেই সময়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। এরপর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রাক এবং একটি ব্যক্তিগত গাড়িতেও ধাক্কা মারে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ডিভাইডারে ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি কয়েকবার পাল্টি খায়, আর তার যাত্রীরা ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান।
মৃত্যু ও আহতের খবর
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের অভিঘাতে গাড়ির তিন যাত্রীর শরীর গাড়ি থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে। ডিভাইডারের ধাতব কাঠামোয় আছড়ে পড়ায় জ্যাকির মাথা, বুক ও কাঁধে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত হন আকাশ ও পঙ্কজ, তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সিসিটিভিতে ধরা পড়ল প্রতিটি মুহূর্ত
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পুরো দৃশ্য একটি হাইওয়ের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে গাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে এবং কীভাবে যাত্রীরা প্রাণ হারান। এই ভিডিও ঘিরে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে নেটমাধ্যমে।
সতর্কবার্তা
দুর্ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি গাফিলতির পরিণাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলন্ত গাড়িতে দরজা খোলা বা জানালা দিয়ে শরীর বাইরে বের করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিশেষ করে যখন গাড়ির গতি খুব বেশি, তখন সামান্য অসাবধানতাও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।