বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে আবারও তীব্র উত্তেজনা। এই মুহূর্তে চিন (China) শুধু যুদ্ধের প্রস্তুতিতেই ব্যস্ত নয়, বরং বড়সড় সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনাও করছে—এমনই বিস্ফোরক দাবি করল আমেরিকার পেন্টাগন। সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সম্মেলনে এই বার্তা দিয়েছেন পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথ।
প্রথম লক্ষ্য তাইওয়ান, কিন্তু ভারতকেও রেহাই নয়!
হেগসেথ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, চিন এখন যুদ্ধের জন্য প্রতিদিন প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার প্রথম নিশানা হতে পারে তাইওয়ান। তবে এখানেই শেষ নয়—চিনের পরবর্তী লক্ষ্য যে ভারত হতে পারে, তাও অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তিনি ভারত-সহ এশিয়ার দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা জোট গড়ছে আমেরিকা, ভারত-জাপান-ফিলিপিন্স একসাথে
পেন্টাগন সূত্রে জানা গেছে, ভারত, জাপান ও ফিলিপিন্সের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। হেগসেথ বলেন, “চিনকে আটকাতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক করতে হবে।”
সাইবার হামলা থেকে মহড়া—চিনের পরিকল্পনা কতদূর?
চিন শুধু সামরিক নয়, সাইবার যুদ্ধেও প্রতিদিন অগ্রসর হচ্ছে বলে অভিযোগ হেগসেথের। প্রতিবেশী দেশগুলোকে প্রযুক্তিগতভাবে বিপর্যস্ত করাও তাদের কৌশল। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলপথে বেজিংয়ের দাবি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৬০% এই রুট দিয়েই চলে—আর এখানেই বাড়ছে উত্তেজনা।
ফিলিপিন্সের উপকূলে চিনা যুদ্ধ মহড়া, সম্মেলনে অনুপস্থিত বেজিং
এই পরিস্থিতিতে, যখন সিঙ্গাপুরে নিরাপত্তা সম্মেলন চলছিল, তখনই ফিলিপিন্সের বিতর্কিত এলাকায় চিনা বিমান ও নৌসেনা যুদ্ধ মহড়া চালায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে চিনের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না।
ভারত কি তৈরি যুদ্ধের জন্য?
এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই—ভারত কি তৈরি এই সম্ভাব্য সংঘর্ষের জন্য? আমেরিকার সতর্কবার্তা কি শুধু আগাম বার্তা, নাকি সত্যিই যুদ্ধ আসন্ন? উত্তরের অপেক্ষায় এশিয়ার সব দেশ।