কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে আজ, ২২শে আগস্ট ২০২৫, এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক এই সভায় যোগদানের আগে তিনি একাধিক নতুন মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি এবং প্রাক্তন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এর আগেও মোদির বেশ কয়েকটি বড় সমাবেশে তাকে দেখা যায়নি। এই অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনো অভিমান বা অসন্তোষের কারণে তিনি এই সভা থেকে দূরে থাকেননি। তার পরিবর্তে, তিনি বেঙ্গালুরুতে একটি পূর্ব-নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
নেতৃত্বের নির্দেশই চূড়ান্ত
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, আজ কলকাতায় তার কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। বেঙ্গালুরুতে আর. প্রসাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে, যার জন্য চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। বরং তার কথায়, “কাজ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আবেগ দিয়ে কিছু হয় না।” তিনি এও বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ তিনি ফোনে শুনতেই পারেন, কিন্তু সেটা কোনো কাজের কথা নয়। দল যখন তাকে কোনো গঠনমূলক কাজের দায়িত্ব দেবে, তখনই তিনি তা পালন করবেন।
ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা
রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (যা আর এক বছরের কিছু বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হবে) নিয়ে তার রাজনৈতিক ভূমিকা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ তার অতীতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।তিনি স্মরণ করেন, প্রথম দুবার যখন দল তাকে নির্বাচনে লড়ার কথা বলেছিল, তখন আসনও জিজ্ঞেস করেছিল। তিনি আসন বাছাই করে ভোটে লড়েন এবং জেতেন। কিন্তু তৃতীয়বার তাকে কোনো কিছু না জানিয়েই ভোটে দাঁড় করানো হয় এবং তিনি পরাজিত হন। এই প্রসঙ্গে তার মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি জানান, এবার দল যদি তাকে নির্বাচনে না লড়ার কথা বলে, তাহলে তিনি অন্য যেকোনো দায়িত্ব হাসিমুখে গ্রহণ করবেন।
রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
দিলীপ ঘোষের মতে, বর্তমানে রাজ্যে এক ধরনের অপশাসন চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষ পরিবর্তন চাইছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বিজেপি আবারও মানুষের মন জয় করবে এবং ক্ষমতায় আসবে। তার এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, দলের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান যাই হোক না কেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রভাব এখনও অটুট।