পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় ডাক না পাওয়ার বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির উত্তাপ বাড়লেও দলীয় কার্যক্রমে নিজের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য যে বেশ স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসী, তা বোঝা যায়।
“কর্মীদের সঙ্গে আছি, দলের প্রয়োজন পড়লেই ডাকা হবে”
দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি দল থেকে এখন কোনো পদে নেই, তবে দলের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। নিয়মিত কর্মীদের সঙ্গে মেলামেশা করি, দলের কাজে সক্রিয় থাকি। আমি চা চক্রে যাই, তিরঙ্গা যাত্রায় হাঁটি। দলের প্রয়োজন পড়লেই আমায় ডাকবে, তখন যাব।” তিনি আরো বলেন, “যদি দলের কেউ আমাকে প্রয়োজন মনে করে, তখন আমাকে অবশ্যই সুযোগ দেওয়া হবে। এখনো আমি দলের সদস্য এবং দলের জন্য কাজ করছি।”
“কোনঠাসা নই, দলের কাজে নিয়োজিতই আছি”
দিলীপ ঘোষের কথায়, “রাজনীতিতে অনেক সময় নেতারা ব্যর্থ হলে অন্যদের দোষ দেয়। এটা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে। কিন্তু আমি কখনও এভাবে কাজ করি না। দল যদি আমাকে প্রয়োজন মনে করে, তখন আমাকে ডাকবে। আমি সেই সময় অবশ্যই যাব। তাই আমি দল থেকে দূরে নয়, বরং দলের কাজে নিয়োজিতই আছি।” তিনি উল্লেখ করেন, “আমি সব জায়গায় যাই না, কিন্তু যখন বড় কোনো কমিটির মিটিং হয়, আমাকে ডাকা হয়, তখন আমি অংশগ্রহণ করি।”
শাহের সভায় না ডাকার পেছনে মন খারাপ নয়
দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করেন, শাহী সভায় না ডাকার কারণে তিনি কোনো মন খারাপ বা আক্ষেপ করেন না। বরং তিনি মনে করেন দল যে কাজ যোগ্য মনে করবে, সেটাই তার কাজ হবে। নিজের জায়গা থেকে দলের জন্য কাজ করাই তার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, “আমার কাছে দলের কাজই সব থেকে বড়। পার্টির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অটুট রয়েছে। দলের জন্য যে কাজ করা দরকার, আমি তা করে যাব।”
ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি এখনো দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং দলের স্বার্থেই কাজ করছেন। যদিও এখনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই, তিনি সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং দলের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলে তাঁর এই আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক মনোভাবকে অনেকেই প্রশংসা করছেন।