কাশ্মীরে পাক জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় নিহত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ভারত তার জবাবে চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যেখানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৯টিরও বেশি জঙ্গিঘাঁটি, মারা পড়ে শতাধিক জঙ্গি। যদিও এই মুহূর্তে সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত, তবু দেশের জনগণের মনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ একটুও কমেনি।
ফ্লিপকার্ট-আমাজনে পাক পতাকা! বিস্মিত কেন্দ্র
এই আবহেই সামনে আসে বিস্ময়কর তথ্য। তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ফ্লিপকার্ট, আমাজনের মতো জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থাগুলিতে খোলাখুলি বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা! শুধু এই দুই সংস্থাই নয়, ইউবিআই ইন্ডিয়া, দ্য ফ্ল্যাগ কর্পোরেশন, ফ্ল্যাগ কোম্পানির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে।
কেন্দ্রের কড়া পদক্ষেপ, একাধিক সংস্থাকে নোটিস
ঘটনাটি নজরে আনেন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’। তারা কেন্দ্রের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ই-কমার্স সংস্থাকে পাঠিয়েছে কড়া নোটিস।
মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানান, “দেশের ভাবাবেগে আঘাত লাগে এমন কোনও সামগ্রী বিক্রি করা চলবে না। ভারতীয় আইনের সীমার মধ্যেই অনলাইন ব্যবসা চলতে হবে।”
বন্ধ হয়ে যাবে ফ্লিপকার্ট ও আমাজন?
নোটিস জারি হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছে—চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফ্লিপকার্ট ও আমাজনের ভারতীয় শাখার ব্যবসা! তবে সরকার এখনও এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কেবলমাত্র সতর্কতামূলক নোটিস দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে পাকিস্তান বা কোনও ভারত-বিরোধী সামগ্রী বিক্রি না হয়।
কীভাবে শুরু হল বিতর্ক?
সবচেয়ে আগে এই বিষয়টি চোখে পড়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের। এরপর দ্রুত তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চিঠির পরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। সেই থেকেই শুরু বিতর্কের ঝড়—একদিকে জনরোষ, অন্যদিকে আইনি ব্যবস্থা।