জার্মানির এক যুবক, নাম কার্স্টেন রবার্ট, রোমাঞ্চপ্রিয় এক অভিযাত্রী। নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশা মাথায় নিয়ে নামলেন একটি পরিত্যক্ত ম্যানহোলে। কিন্তু সেখানে গিয়ে যা দেখলেন, তা দেখে প্রথমে তিনি নিজেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
ম্যানহোলের ভিতরটা অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে—এই তো ভাবা যায়! কিন্তু কার্স্টেন দেখলেন ভিতরে বিশাল এক কাঠামো, অনেকটা হাসপাতালের মতো। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরনো স্ট্রেচার, ছেঁড়া বিছানা, দেওয়ালে ধুলো-ময়লার দাগ। চারপাশে যেন এক গা ছমছমে পরিবেশ।
ভিতরে যেন একটা হারিয়ে যাওয়া হাসপাতাল
কার্স্টেন নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একের পর এক ঘর, পুরনো যন্ত্রপাতি, কোথাও পড়ে রয়েছে ছেঁড়া গদির বিছানা। কেউ বলছেন, এটা হয়তো এক সময়কার গোপন হাসপাতাল।
তাঁর দাবি, এটি সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি ভূগর্ভস্থ হাসপাতাল। হয়তো বোমার হাত থেকে বাঁচতে বা গোপন চিকিৎসা চালাতে এমন কিছু তৈরি হয়েছিল তখন। যদিও এর কোনও অফিসিয়াল প্রমাণ মেলেনি।
ভাইরাল ভিডিওতে নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
ভিডিওটি সামনে আসতেই ভাইরাল হয়ে যায়। ২০ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে সেই ভিডিও। কমেন্টে কেউ লিখছেন, “এটা যেন সিনেমার দৃশ্য!”, কেউ বলছেন, “অবিশ্বাস্য! অথচ এত ভয়ঙ্কর।”
তবে অনেকেই বলছেন, এ ধরনের ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা জরুরি। কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, হয়তো এটি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা কোনও সেটও হতে পারে। তবে যা-ই হোক, ভিডিওটি রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছে ইন্টারনেটে।
আরও কত কী লুকিয়ে শহরের বুকে?
এই ঘটনাটি একটাই প্রশ্ন মনে জাগছে, সেটা হলো এই শহর, এই দুনিয়ার বুকে আরও কত না-জানা গোপন জায়গা লুকিয়ে রয়েছে, যার খোঁজ আমরা কোনও দিনও পাই না! যেমন, ম্যানহোলের তলা থেকে উঠে এল এক অজানা হাসপাতাল, তার ভিতরে মৃত্যুর গন্ধ, ভয়ের ছায়া আর পুরনো দিনের গল্প। এ যেন রোমাঞ্চের পাশাপাশি এক ভয়াবহ আবিষ্কার।
View this post on Instagram