India Defence : সীমান্ত উত্তেজনা, আন্তর্জাতিক চাপ আর শত্রুর চোখ রাঙানিকে জবাব দিতে ভারতের প্রতিরক্ষা ভাণ্ডারে যোগ হতে চলেছে এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র—‘গাণ্ডিব’। ৩৫০ কিমি পাল্লার এই BVRAAM (Beyond Visual Range Air-to-Air Missile) মিসাইল শীঘ্রই লাইভ ফায়ার ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত। ভারতীয় সেনার আধুনিকতম প্রযুক্তি SFDR (Solid Fuel Ducted Ramjet)-এ তৈরি এই মিসাইল শুধু ভারতের নয়, হতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল।
প্রযুক্তির জাদু: SFDR + AESA রাডার = অজেয় গাণ্ডিব
ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি গাণ্ডিব যে কোনও বাধাকে উপেক্ষা করে নিজে টার্গেট খুঁজে তাকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে রয়েছে AESA হোমিং সিস্টেম, যা নিজেরাই লক্ষ্য খুঁজে নেয়। আবার সুপার-এগাইল টার্মিনাল ম্যানুভারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে শেষ মুহূর্তে শত্রুর পালানোর কৌশলও ব্যর্থ করে দিতে পারে এই মিসাইল।
SFDR ইঞ্জিনের কারণে এর গতিবেগ ও রেঞ্জ—দু’টোই ভয়ঙ্কর! যেখানে ইউরোপীয় Meteor বা চিনা PL-15-এর পাল্লা ২০০-২৫০ কিমি, সেখানে গাণ্ডিব ছুঁতে পারে ৩৫০ কিমি পর্যন্ত।
প্রতিপক্ষের জবাব, এবার ভারতের পালা
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের PL-17, যা তাদের J-20 স্টিলথ ফাইটারে ব্যবহৃত হয়, তার মোক্ষম জবাব হতে চলেছে এই গাণ্ডিব। ভারতীয় সুখোই-৩০ ফাইটার জেটে ইতিমধ্যেই ক্যাপটিভ ক্যারেজ ট্রায়াল চলছে। সমস্ত টেকনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হলে এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সেরা তিনটিতে জায়গা করে নেবে—যেখানে কোনও মার্কিন, চিনা বা ইউরোপীয় নয়, শীর্ষে থাকবে ভারত।
গাণ্ডিবের যুদ্ধের মঞ্চে নামার আগে
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানাচ্ছে, গাণ্ডিবের প্রাথমিক ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে চূড়ান্ত ইন্টিগ্রেশন টেস্ট। বর্তমানে সুখোই যুদ্ধবিমানে এই মিসাইল সংযোজন চলছে—চেক করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ইন্টারফেরেন্স ও অন্যান্য সেন্সর সাপোর্ট।
এর কার্যক্ষমতা এবং টেকনিক্যাল দিক দেখে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একে আগামী দশকের গেম চেঞ্জার বলে মনে করছে।
কেন ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান?
চিন বা পাকিস্তান এতদিন PL-17 বা H-4 মিসাইলের দাপট দেখাত। এবার সেই আধিপত্যে ধাক্কা দিতেই গাণ্ডিবের আবির্ভাব। এটি শত্রুপক্ষের রাডার ও ইলেকট্রনিক জ্যামিংকে পরাস্ত করতে পারে এবং একইসঙ্গে সুপার-সনিক গতিতে শত্রুর যুদ্ধবিমানে হানা দিতে পারে। এটা শুধু অস্ত্র নয়, একেবারে কৌশলগত দিক থেকেও ভারতকে এগিয়ে দেবে।
উল্লেখ্য, ‘গাণ্ডিব’ শুধু একটি মিসাইল নয়—এ এক ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা প্রতীক। এটি শুধু শত্রুকে ভয় দেখাবে না, বরং ভারতকে আত্মবিশ্বাসের নতুন স্তরে পৌঁছে দেবে। লাইভ-ফায়ার ট্রায়ালের পর হয়তো খুব শীঘ্রই আমরা দেখতে পাব, আকাশপথে ভারতের নিঃশব্দ কিন্তু নিশ্চিত বিজয়—‘গাণ্ডিব’-এর হাত ধরে।