কাশ্মীরের পহেলগাম এলাকায় ভয়াবহ হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সিন্ধু নদীর জল আর যাবে না পাকিস্তানে। বরং সেই জল এবার কাজে লাগবে দেশেরই চারটি রাজ্যে—রাজস্থান, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ ও দিল্লিতে।
পাকিস্তানকে এক ফোঁটাও জল নয়
জলশক্তি মন্ত্রী সি.আর. পাতিল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “পাকিস্তান এক ফোঁটাও জল পাবে না।” তাঁর কথায়, সিন্ধু জলচুক্তি মেনে শতভাগ বাস্তবায়ন হবে, তবে সেই জল থাকবে ভারতের ব্যবহারের জন্য।
সিন্ধু নদী দিয়ে এতদিন যে বিপুল পরিমাণ জল পাকিস্তানে চলে যেত, এখন তা ব্যবহার করা হবে ভারতের শুষ্ক রাজ্যগুলোর জন্য। জলশক্তি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে, প্রতিটি ফোঁটা জলের সঠিক ব্যবহারের দিকেই নজর।
মাস্টারমাইন্ড অমিত শাহ?
রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই কৌশলগত সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর নেতৃত্বে বৈঠকে উঠে এসেছে একাধিক প্রস্তাব, যার ভিত্তিতেই বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রকল্পটি। পাতিল জানান, শাহের পরামর্শ ধাপে ধাপে, ধীরস্থিরভাবে বাস্তবায়িত হবে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে।
চার রাজ্যের জন্য আশীর্বাদ এই প্রকল্প
রাজস্থান, হরিয়ানা, হিমাচল ও দিল্লি বহুদিন ধরেই জলের অভাবে ভুগছে। চাষের জন্য, পানীয় জলের জন্য সমস্যা লেগেই থাকত। সিন্ধুর জল এই রাজ্যগুলোতে পৌঁছালে তা শুধু তৃষ্ণা মেটাবে না, বরং কৃষি ও জীবনের গতি সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ‘গেম চেঞ্জার’। ভারতের জলনীতি ও কৌশলগত অবস্থান দুই ক্ষেত্রেই এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতের দিক নির্ধারণ করে দেবে।