TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

মাথার উপর রোদ, অথচ ছায়া পড়বে না! ঠিক কোনদিন? জানলে চমকে যাবেন!

২০২৫ সালে দু’দিন এমন এক সময় আসছে, যখন দুপুরে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েও ছায়া পড়বে না! কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এই বিরল ঘটনা দেখা যাবে। জেনে নিন তারিখ ও কারণ।

Debapriya Nandi Sarkar

চোখ ধাঁধানো রোদ্দুর, মাথার উপর সূর্য—তবু আপনার শরীরের নিচে ছায়া পড়বে না! শুনে অবাক লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটতে চলেছে কলকাতায় ২০২৫ সালে। এমন মুহূর্তকে বলা হয় ‘জিরো শ্যাডো ডে’। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও ছায়াহীন এই সময় যেন এক মহাজাগতিক ম্যাজিক।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

কবে ঘটবে জিরো শ্যাডো ডে?

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন এবং ৭ জুলাই কলকাতায় জিরো শ্যাডো ডে পড়বে।

  • ৫ জুন, দুপুর ১১টা ৩৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড
  • ৭ জুলাই, দুপুর ১১টা ৪১ মিনিট ২৪ সেকেন্ড

এই সময় সূর্য থাকবে ঠিক মাথার উপর, ফলে কোনো উল্লম্ব বস্তুর ছায়া মাটিতে পড়বে না। তবে এই সময়সীমা খুব অল্প—মাত্র এক থেকে দেড় মিনিট!

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now

ছায়াহীন কেন হয় এই মুহূর্ত?

এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে, যখন সূর্যের আপাত অবস্থান ঠিক মাথার ওপর থাকে। তখন মাটিতে ছায়া পড়ার কোনও কোণ তৈরি হয় না। যেহেতু পৃথিবীর নিরক্ষরেখার কাছাকাছি এলাকা গুলিতে সূর্য একেবারে মাথার উপর উঠে আসে, তাই এই ঘটনাগুলো সেখানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

শুধু কলকাতা নয়, বাংলার আরও কোথায় ঘটবে?

শুধু কলকাতায় নয়, বাংলার বিভিন্ন জেলাতেও এই বিরল মুহূর্ত দেখা যাবে। প্রতিটি জেলার জন্য নির্ধারিত দুইটি করে দিন থাকছে:

  • খড়্গপুর: ৩ জুন ও ৯ জুলাই
  • বর্ধমান: ১৪ জুন ও ২৮ জুন
  • মায়াপুর: ১৯ জুন ও ২৩ জুন
  • ডায়মন্ডহারবার: ২ জুন ও ১০ জুলাই
  • কৃষ্ণনগর: ১৭ জুন ও ২৫ জুন
  • হলদিয়া: ১ জুন ও ১১ জুলাই
  • মেদিনীপুর: ৪ জুন ও ৮ জুলাই
  • ব্যারাকপুর: ৭ জুন ও ৫ জুলাই
  • বারুইপুর: ৩ জুন ও ৯ জুলাই
  • দিঘা: ২৯ মে ও ১৪ জুলাই
  • পুরুলিয়া: ১৬ জুন ও ২৭ জুন
  • কল্যানী: ১০ জুন ও ২ জুলাই
  • হাবরা: ৮ জুন ও ৪ জুলাই

কেন এমন ঘটনা এত গুরুত্বপূর্ণ?

এই সময়টা অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কারণ এটি সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক প্রমাণ। একে ঘিরে স্কুল, কলেজে পর্যবেক্ষণের আয়োজনও হয়।