TRENDS
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেল ল্যাপটপ? কী করবেন এখনই জেনে নিন
সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাইক খুজছেন! রইল ১ লাখের কমে সেরা কিছু সন্ধান

পর্নোগ্রাফি ও মদই… পুলিশের অক্ষমতা ঢাকতে ধর্ষণ নিয়ে কি বললেন ডিজিপি? জানুন

ধর্ষণের বাড়বাড়ন্ত রোখা যাচ্ছে না কেন? মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি কৈলাশ মাকওয়ানা বললেন, পুলিশের একার পক্ষে ধর্ষণ থামানো সম্ভব নয়। দায় দিলেন অশ্লীল কনটেন্ট ও মদের উপর। বিস্ফোরক বিতর্ক শুরু।

Debapriya Nandi Sarkar

যখন দেশজুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে, তখন তীব্র বিতর্ক উসকে দিলেন মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি কৈলাশ মাকওয়ানা। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “পুলিশ একা ধর্ষণ আটকাতে পারে না।” বরং তিনি দায়ী করেছেন সমাজের অবক্ষয়, মদ এবং অনলাইন পর্নোগ্রাফিক কনটেন্টকে। এই মন্তব্যে যেমন সমর্থন মিলছে প্রশাসনের কিছু মহল থেকে, তেমনই নারীবাদী সংগঠন এবং বিরোধীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

Advertisements
Whatsapp-color Created with Sketch. গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে এখনই যুক্ত হোন 👉🏻
Join Now

পর্ন ও মদ ধর্ষণের জন্য দায়ী?

ভোপালে এক পুলিশি বৈঠকে ডিজিপি বলেন—
“যেভাবে মোবাইলে সহজেই পর্ন দেখা যাচ্ছে, তাতে কিশোর-তরুণদের মনন নষ্ট হচ্ছে। পরিবারে নজরদারি নেই। সমাজে সংযম হারিয়ে ফেলেছে মানুষ। পুলিশ একা কীভাবে এই সব থামাবে?” তিনি আরও বলেন, “আগে পরিবারে অভিভাবকরা বাচ্চাদের উপরে নজর রাখতেন, শিক্ষকরা শাসন করতেন। এখন সবাই ব্যস্ত নিজের ফোনে। ফলে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।” এই মন্তব্যের পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে।

সংখ্যাই বলছে বাস্তব চিত্র

সরকারি পরিসংখ্যান আরও চিন্তার।

Whatsapp-color Created with Sketch. সেরা খবরগুলো মোবাইলে পেতে এখনই যুক্ত হোন👉🏻
Join Now
  • ২০২০ সালে মধ্যপ্রদেশে ধর্ষণের মামলা ছিল ৬১৩৪টি

  • ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭২৯৪টি— বৃদ্ধি প্রায় ১৯%

  • অর্থাৎ দিনে গড়ে ২০টি ধর্ষণ মামলা রেজিস্টার হচ্ছে!

তবু প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা এমন মন্তব্য করায় জনমনে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

কসবাকাণ্ড, আরজি কর— ধারাবাহিক ঘটনায় জনরোষ

মাত্র ১০ মাস আগে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে ঘটে গিয়েছিল নারকীয় ধর্ষণকাণ্ড। সেই স্মৃতি না মুছতেই কসবার আইন কলেজে ফের এক ছাত্রী গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। রাজ্য থেকে রাজ্য, শহর থেকে শহর— কোথাও যেন মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ডিজিপির মুখে ‘পুলিশের একার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়’— এমন বক্তব্য অনেকের মতে দায় এড়ানোর অজুহাত ছাড়া কিছু নয়।

প্রতিক্রিয়া: রাজনৈতিক দল ও সমাজকর্মীদের তীব্র সমালোচনা

ডিজিপির বক্তব্য ঘিরে বিস্ফোরণ ঘটেছে রাজনৈতিক মহলে।

  • বিরোধীরা বলছে, এটি সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা।

  • নারী কমিশনের এক সদস্য জানান, “সমস্যা সমাজে থাকলেও পুলিশ কী করছে? দায় তো পুলিশ ও প্রশাসনের।”

অনেকে বলছেন, যদি পুলিশই হাত তুলে দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

সমস্যার গোড়ায় পৌঁছাতে গেলে ডিজিপির বক্তব্য আংশিক বাস্তব হলেও, একজন প্রশাসনিক প্রধানের এমন ভরসাহীন ও বিতর্কিত মন্তব্য নিঃসন্দেহে জনমনকে হতাশ করে। পর্ন বা মদ থাকতেই পারে অপরাধ বৃদ্ধির একটি সহায়ক ফ্যাক্টর, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার প্রধান হিসেবে দায় এড়ানো নয়, সমাধানের পথ দেখানো উচিত ছিল।