কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারানোর পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। জবাবে পাকিস্তানও একই সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তারা আদৌ মানছে তো? সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তান এখন তৃতীয় দেশের মাধ্যমে গোপনে ভারতে পণ্য পাঠানোর চেষ্টা করছে। বিশেষত সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মাধ্যমে এই ট্রান্সশিপমেন্ট হচ্ছে বলে সন্দেহ ভারত সরকারের।
কড়া নজরদারিতে ভারত, খেলা ধরা পড়ে যাচ্ছে
ভারতের রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর (ডিআরআই) এখন আরও সক্রিয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আসা পণ্যগুলোর লেবেল, প্যাকেজিং-এ খুঁতখুঁত করে দেখা হচ্ছে, যাতে পাকিস্তান থেকে কোনও পণ্য গোপনে ঢুকে না পড়ে।
সরকারি সূত্র বলছে, পাকিস্তান থেকে খেজুর ও শুকনো ফল আসছে এই ধরনের দেশে ঘুরিয়ে, এবং এটা আটকাতে কূটনৈতিক স্তরে পদক্ষেপও শুরু করেছে ভারত।
বাণিজ্য পরিসংখ্যানে স্পষ্ট বদল
২০১৮-১৯ সালে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল প্রায় ৪,৩৭০ কোটি টাকার। তবে পুলওয়ামার পর তা কমতে থাকে। ২০২৫ সালে এসে সম্পূর্ণভাবে বাণিজ্য বন্ধ করে ভারত। তবে আশ্চর্যের বিষয়, পাকিস্তান যেভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেটি মানা তো দূরের কথা, বরং নিজেরাই সেই নিয়ম লঙ্ঘন করছে। এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়াচ্ছে ভারত।
প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানের নীতিনৈতিকতা নিয়েই
এখন প্রশ্ন উঠছে, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পাকিস্তানের অবস্থান কতটা দ্বিচারিতা পূর্ণ? একদিকে নিষেধাজ্ঞার নাটক, অন্যদিকে গোপনে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া—এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলেও পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস নয়।