Sleep Tips : দিনভর অফিস, ক্লান্ত শরীর—সব মিলিয়ে রাতে বিছানায় গিয়ে ঘুম আসার কথা। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা অন্যরকম। অনেকেই বিছানায় গেলেই মোবাইল ঘাঁটতে থাকেন। কেন? কারণ ঘুম আসে না। একঘন্টা, দু’ঘন্টা গড়িয়ে যায়। চোখে ঘুম নেই। ঠিক এমন সময়ে বিছানার চাদর নিয়ে কিছুটা সচেতন হলেই আপনি ঘুমের সমস্যার থেকে অনেকটা মুক্তি পেতে পারেন।
সুতির হালকা রঙের চাদর বেছে নিন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিছানার চাদর যদি হয় খাঁটি সুতির এবং হালকা রঙের (যেমন সাদা, হালকা হলুদ), তাহলে তা মনকে শান্ত করে এবং শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে। গাঢ় রঙের তুলনায় হালকা রঙ মনকে ঠান্ডা রাখে।
সন্ধ্যায় চাদর বদলানোর অভ্যাস করুন
দিনভর ধুলো-ময়লা জমে যায় চাদরে। তাই সন্ধ্যাবেলা শোওয়ার আগে চাদর বদলে ফেলুন। নতুন, তাজা চাদরের স্পর্শে মনও সতেজ হবে। এই অভ্যাস ঘুমের মান উন্নত করে।
পারফিউম বা এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার
চাদর বা বালিশে হালকা ঘ্রাণযুক্ত পারফিউম বা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। ঘ্রাণ-চিকিৎসা বহু প্রাচীন পদ্ধতি। একটি হালকা, মনকে প্রশান্ত করা সুগন্ধ ঘুমে সহায়তা করে।
গরমকালে গাঢ় রঙ এড়িয়ে চলুন
গ্রীষ্মকালে গাঢ় রঙের চাদর ঘরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। তার উপর যদি এয়ার কন্ডিশন না থাকে, তাহলে ঘুম হওয়াটাই মুশকিল। তাই এই সময় হালকা রঙ এবং পাতলা কাপড়ের চাদরই উপযুক্ত।
ডিজাইন নয়, সাদামাটা চাদরেই মিলবে শান্তি
চোখে পড়ার মতো বড় বড় ডিজাইনের চাদর চোখের আরাম নষ্ট করে। বরং একরঙা বা খুব হালকা প্রিন্টের চাদর ঘুমের পক্ষে উপযুক্ত। সাদা বা অফ-হোয়াইট চাদর আদর্শ।
চাদর সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে
সপ্তাহে অন্তত একবার চাদর ধুয়ে ফেলুন। চাদরে জমে থাকা ধুলো, ঘাম, ব্যাকটেরিয়া ঘুমের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। যারা অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের তো অবশ্যই নিয়মিত চাদর পরিষ্কার রাখা উচিত।
সপ্তাহে অন্তত ৩ বার চাদর বদলান
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু পরিষ্কার রাখলেই নয়, চাদর বদলানোও জরুরি। অন্তত সপ্তাহে ৩ দিন চাদর বদলান। এতে শরীর ও মন দুটোই বিশ্রাম পায়, ঘুমও গভীর হয়।
শেষ কথা
ঘুম শুধুই একটি দৈহিক প্রক্রিয়া নয়—এটি একটি মানসিক বিশ্রাম। আর ঘুমের পরিবেশ তৈরিতে বিছানার চাদর যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা অনেকেই জানেন না। আজ থেকেই এই সহজ কিন্তু কার্যকরী টিপসগুলি প্রয়োগ করুন। দেখবেন, ওষুধ ছাড়াও মিলবে শান্তির ঘুম।