Student Credit Card : শিক্ষার খরচ বাড়ছে, আর সেই সঙ্গে বাড়ছে শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাহিদাও। সেই জায়গা থেকেই জনপ্রিয় হচ্ছে ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’। কিন্তু এই কার্ড আদৌ সুবিধাজনক, না কি একটা আর্থিক ফাঁদ? জেনে নিন বিস্তারিত।
কারা নিতে পারবেন এই কার্ড?
যে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী, যার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর, এবং যিনি কোনও স্বীকৃত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার্ড রয়েছেন, তিনি এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তার আগে নিজের পরিচয়পত্র, কলেজ রেজিস্ট্রেশন প্রমাণপত্র ও ঠিকানা সংক্রান্ত কিছু নথি জমা দিতে হয়।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা কী কী?
মেয়াদ: সাধারণত ৫ বছরের জন্য দেওয়া হয় এই কার্ড।
কম খরচ: অধিকাংশ কার্ডে বার্ষিক ফি নেই, এমনকি মেম্বারশিপ চার্জও নয়।
সহজ আবেদন: সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় এখানে কম নথি জমা দিতে হয়।
চুরি হলে নতুন কার্ড: কার্ড চুরি বা হারিয়ে গেলে, খুব সামান্য ফি দিয়ে ডুপ্লিকেট কার্ড পাওয়া যায়।
ক্রেডিট স্কোর: নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে ক্রেডিট স্কোর বাড়ে, যা ভবিষ্যতের ঋণ পেতে সাহায্য করে।
কিন্তু অসুবিধাগুলো কী?
কম লিমিট: সাধারণ ক্রেডিট কার্ডের তুলনায় খরচের সীমা অনেক কম থাকে।
বেশি সুদ: অনেক ক্ষেত্রে এই কার্ডে সুদের হার তুলনায় বেশি হতে পারে।
হিডেন চার্জ: কিছু কার্ডে লুকানো বার্ষিক ফি বা প্রসেসিং চার্জ থেকে যায়।
লেট ফি: সময়মতো বিল না মেটালে বিলম্ব ফি দিতে হয়, যা চাপ বাড়াতে পারে।
কোন বিষয়ে সচেতন থাকবেন?
অনেক ছাত্রছাত্রীই না বুঝেই অতিরিক্ত খরচ করে ফেলে। মাসিক ইনকাম না থাকায় পরে তা পরিশোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে ডিফল্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে এবং ভবিষ্যতের ঋণ নিতেও সমস্যা হতে পারে। তাই আবেদন করার আগে নিশ্চিত হোন আপনি কি এই দায় সামলাতে পারবেন?
বিশেষ পরামর্শ:
- সব সময় সময়মতো পেমেন্ট করুন।
- ব্যয় সীমার মধ্যে থাকুন।
- হিডেন চার্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন।
- কোন ব্যাংকের কার্ড আপনি নিচ্ছেন, তাদের নিয়ম ভালভাবে পড়ুন।
উল্লেখ্য, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হতে পারে উচ্চশিক্ষার পথে এক বড় সহায়। তবে সাবধান না থাকলে তা হতে পারে আর্থিক ফাঁদও। তাই ‘চিন্তা করে খরচ করুন’ এবং আবেদনের আগে ভালো করে পড়াশোনা করুন এই কার্ডের নিয়মাবলী।
বিঃদ্রঃ এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা। কোনও আর্থিক পরামর্শ নয়। আবেদন করার আগে ব্যাংক বা আর্থিক পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলুন।