Today’s Weather : সপ্তাহের শুরুটা হতে চলেছে খানিকটা অস্বস্তিকর। সকাল থেকেই আকাশ থাকবে মেঘলা। হালকা ঝাপসা রোদের ফাঁকেই হাঁসফাঁস গরমের ইঙ্গিত মিলবে। এমনকি সকাল ৯টার মধ্যেই তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ফলে দিন শুরুর আগেই ঘাম ঝরিয়ে দেবে প্রকৃতি।
দুপুর গড়াতেই তীব্র গরমের চোট
দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে গরমের চোট আরও তীব্র হয়ে উঠবে। তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি। এর সঙ্গে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ থাকবে ৭৫ শতাংশের ওপরে, যা বাড়িয়ে দেবে অস্বস্তির মাত্রা। বাতাসের গতি কম থাকায় গরমটা একেবারে শরীরে এসে বিঁধবে।
এই সময়ে বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও হৃদরোগে আক্রান্তদের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাইরে বেরোতে হলে সঙ্গে রাখুন ছাতা বা টুপি, সঙ্গে পর্যাপ্ত জল পান নিশ্চিত করতে হবে।
বিকেলে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা
তবে গরমের মাঝে খানিকটা স্বস্তির ইঙ্গিতও দিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও আবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে। যদিও এই বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তবে পথ চলতি মানুষজনকে কিছুটা ভোগাবে।
বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা—এই সব অঞ্চলে বিকেল ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাতের দিকে একটু শান্তির সম্ভাবনা
বৃষ্টি কাটার পর রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আদ্রতা থেকেই যাবে। তাপমাত্রা নেমে আসবে ২৮ ডিগ্রির আশেপাশে। ফলে ঠান্ডা লাগবে না, তবে তুলনায় একটু স্বস্তি মিলতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই ধরনের পরিবর্তনশীল আবহাওয়া আগামী কয়েক দিন চলতে পারে। উত্তর-পূর্ব দিক থেকে হালকা মনসুনের প্রভাব আসতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের দিকে, যার ফলেই এই রকম মেঘ-বৃষ্টির খেলা শুরু হয়েছে।
কী কী সতর্কতা নিচ্ছেন মানুষ?
আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাস সামনে আসতেই সতর্ক হচ্ছেন অনেকেই। কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিকেলের কোচিং ক্লাস বাতিল করেছে। দোকানদাররা জানাচ্ছেন, বিকেল ৪টার পর থেকেই ক্রেতা কমে যায় যদি আকাশ কালো হয়। অনেকে আবার রাস্তায় বেরোতেই চাইছেন না ছাতা ছাড়া।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সতর্কতা অবলম্বন করলেই সহজেই এড়ানো যাবে বিপদ। যাঁরা বাইক বা সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের হেলমেট ও রেইনকোট রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যারা কাজে বেরোচ্ছেন, তাদের জন্য দিনটা কিছুটা ধৈর্যের পরীক্ষা হতে চলেছে। তবে একটু প্রস্তুতি থাকলেই এই গরম–বৃষ্টির মাঝে নিজেকে রক্ষা করা কঠিন হবে না। তাই আগেভাগেই সতর্ক হন, থাকুন সুস্থ।