Today’s Weather : ভারতের আবহাওয়া মানেই চমক। আর সেই চমকের কেন্দ্রে আজ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের একাধিক রাজ্য। একদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে এগোচ্ছে মৌসুমি বায়ু, অন্যদিকে পূর্ব ভারতের আকাশে জমছে মেঘ—তারই মাঝে সূর্য যেন নিজেই দ্বিধায় পড়েছে, ঝলসে দেবে না মুছিয়ে দেবে?
বেলা বাড়লেই বাড়বে গরম!
রাজ্যে সকাল শুরু হয়েছে তুলনামূলকভাবে শান্ত আবহাওয়ায়। তবে কলকাতা, হাওড়া, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতে দুপুরের দিকে তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বাতাসে আর্দ্রতার কারণে গরম আরও বেশি অনুভূত হবে, শরীরে ক্লান্তি আর ঘাম—দুটোই বাড়বে।
সতর্কতা: বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে রাখুন জল, ছাতা আর হালকা সাদা জামা—তাপপ্রবাহের প্রাথমিক প্রভাব এইসব জায়গায় ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
আকাশে ভাসছে বাজের সম্ভাবনা!
দুপুর গড়াতেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে (বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম) বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে। কৃষকদের জন্য এই সময়টা বেশ সতর্ক হওয়ার। বজ্রপাতের কারণে মাঠে কাজ করতে গেলে বিপদের আশঙ্কা প্রবল।
বৃষ্টির ছায়া কিন্তু ভারী নয়… এখনো!
মেঘ জমলেও আজ বেশিরভাগ জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দার্জিলিং-এর কিছু এলাকায়। বাকি রাজ্যে বিচ্ছিন্ন হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি ফোঁটার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যেহেতু আর্দ্রতা বেশি, তাই এই বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তির, বিশেষত যারা রোদের ঝলক খেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন।
দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা
উত্তর ভারতের দিল্লি, রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে চলছে চূড়ান্ত গরম। দিল্লিতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস! গরমের এমন ভয়ানক রূপ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আসছে মৌসুমি বায়ু—কিন্তু একটু ধীরে
দক্ষিণ ভারত এবং কেরলে মৌসুমি বায়ু ঢুকেছে আগেই, তবে পূর্ব ও মধ্য ভারতের দিকে তার গতি কিছুটা মন্থর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড হয়ে মৌসুমি বায়ু ঢুকতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। তার আগে কিছু প্রাক-মৌসুমি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজকের আবহাওয়া যেন এক নিঃশব্দ প্রতিজ্ঞা—দেখতে শান্ত, কিন্তু ভিতরে আগুন আর জল দুই-ই প্রস্তুত। তাই দিনটা কাটান সাবধানে, না অতিরিক্ত ভরসায়, না অকারণে ভয় পেয়ে। আকাশের খবর রাখুন, আর নিজের খেয়াল রাখুন।