West Bengal : দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফের উত্তাল জনতা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একই বাড়িতে বসবাসকারী মা ও মেয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। স্থানীয়দের মতে, ওই বাড়িতে নিয়মিত বহিরাগত ছেলে-মেয়েদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।
এক যুগলকে হাতেনাতে ধরার পরেও ফের পুনরাবৃত্তি
গত মঙ্গলবার রাতেই এক যুগলকে সন্দেহজনক অবস্থায় সেই বাড়ি থেকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। পুলিশ এসে তাঁদের নিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ার আগেই, শনিবার ফের ওই বাড়িতে আরেক যুগলকে দেখতে পেয়ে রেগে আগুন গ্রামবাসীরা।
ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মহিলারা, চায়ের দোকানে হামলা
সেদিন বিকেলে গ্রামবাসীদের একাংশ বিশেষ করে মহিলারা দল বেঁধে চড়াও হন অভিযুক্তদের বাড়িতে। প্রথমে হানা দেওয়া হয় ঘরে, তারপর মেয়ের চালানো চায়ের দোকান গুঁড়িয়ে দেন। এরপর উত্তেজিত জনতা মা-মেয়ের মুখে কালি লাগিয়ে দেন প্রকাশ্যে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে রক্ষা
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিশ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, তাঁরা আর কোনওভাবেই ওই মা ও মেয়েকে গ্রামে থাকতে দেবেন না।
অতীতেও উঠেছিল একই অভিযোগ
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর খানেক আগেও একই ধরনের ঘটনায় মা-মেয়েকে হাতেনাতে ধরেছিলেন তাঁরা। তখন ক্ষমা চেয়ে, এমন কাজ আর করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্তরা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই আবারও শুরু হয় একই কার্যকলাপ।
গ্রামবাসীদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি
গ্রামবাসী অমিত কর্মকার বলেন, “বারবার সুযোগ দিয়েও যদি ঠিক না হয়, তাহলে গ্রাম রক্ষা করার দায় তো আমাদেরই নিতে হবে।”
অভিযুক্ত মহিলা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “আমার বাড়িতে শুধুই এক ছেলে আর এক মেয়ে বসেছিল। এই সন্দেহেই গ্রামবাসীরা আমার বাড়িতে ঢুকে আমাদের হেনস্থা করে, বিয়ের হুমকি দেয়, বলছে আমাকে এলাকায় থাকতে দেবে না।”
এই ঘটনা গ্রামীণ সমাজে নৈতিকতা ও আইনশৃঙ্খলার দ্বন্দ্ব নিয়ে এক নতুন প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ এখনো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, তবে এলাকায় উত্তেজনা জারি। দোষী প্রমাণিত হলে আইন কী ব্যবস্থা নেয়, সেটাই এখন দেখার।